কাজ শেষ হয়নি তাতে কি, বিল তো তোলা হয়ে গেছে

332

ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জে জেলা পরিষদের নামে অনেক প্রকল্পেরই কাজ না করে বিল তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার ও প্রকৌশলীদের বিরুদ্ধে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, ১ থেকে ২ লাখ টাকার প্রকল্প রয়েছে ৪ শতাধিক। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মন্দির, গির্জা ও কবরস্থানসহ নানা প্রকল্পের বাইরে ও কতিপয় ভুঁইফোড় সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় ১০ কোটি টাকার কাজের প্রকল্প তৈরি করে অর্থ লুট করা হয়। জেলা পরিষদের উন্নয়ন কাজের অগ্রগতির তালিকার বেশিরভাগ কাজই সমাপ্ত দেখানো হয়েছে। সরেজমিন এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যেসব প্রতিষ্ঠানের নামে প্রকল্প বরাদ্দ হয়েছে, তা অনেকে জানেই না। ওই সব প্রতিষ্ঠানের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছেও এমন তথ্য নেই। 

তুইতাল মেইন রোড থেকে বাজার পর্যন্ত রাস্তায় ১৫ লাখ টাকার প্রকল্প বরাদ্দ হয়। এখানে গত এক বছরে কোনো কাজ হয়নি বলে স্থানীয়রা জানান। কিন্তু এ রাস্তার ঠিকাদার বলছেন, তিনি সম্পূর্ণ কাজ করেছেন। ৬ মাস আগে ইট সলিংয়ের কাজ করা হয়েছে।

এদিকে তুইতাল উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলা অডিটোরিয়াম ভবন নির্মাণে দুই ভাগে ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু সেখানে বেইস (ভিটি) করার পর আর কাজ হয়নি। অথচ ঠিকাদার বেশিরভাগ বিল তুলে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

অন্য খবর  ঢাকা-১ আসনে নির্বাচন করতে চান গণফোরামের সাইদুর রহমান

তুইতাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, তার স্কুলে কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে কেন কাজ হচ্ছে না তা তিনি জানেন না। 

নয়নশ্রী ইউনিয়নের বাংলাবাজার থেকে ঘোষপাড়া কালী মন্দির হয়ে উত্তর বাহ্রা রাস্তায় ইট সলিংয়ের কাজে ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। সেখানে মাত্র ১ হাজার ফুট কাজ হয়। 

নয়নশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান মো. পলাশ চৌধুরী বলেন, প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তায় অল্প টাকায় কাজ করা সম্ভব নয়। তাই দুই প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প দিয়ে সমন্বয় করা হয়েছে। 

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মলয় কুমার রায় বলেন, সব প্রকল্প নিয়েই রিপোর্ট হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই।

আপনার মতামত দিন