সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন নবাবগঞ্জ পুলিশ

342

নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের চতুরতায় খোঁয়া যাওয়া মূল্যবান কাগজপত্রসহ মালামাল ফিরে পেলেন মানিকগঞ্জ সদর থানার হাটিপাড়া গ্রামের কাতার প্রবাসী মো. ইয়ানূছ খান।  বুধবার রাতে কেরাণীগঞ্জের কদমতলী থেকে সিএনজি অটোরিক্সা যোগে হরিরামপুরে শাশুড় বাড়িতে ফেরার সময়ে সিএনজি চালক মালামাল গুলো নিয়ে পালায়।
বুধবার রাতে টিকরপুর চক এলাকার পুলিশ চেকপোস্ট থেকে কর্তব্যরত সদস্যরা মালামাল গুলো উদ্ধার করে থানায় আনে।
এতে প্রবাসী পরিবারের ভিসা লাগানো পাসপোর্ট, বিমানের টিকিট, আধা ভরির সোনার গহনা, ৩ লাখ টাকার ব্যাংক চেক, নগদ ২০ হাজার টাকাসহ অন্যান্য মালামাল ছিল। পরে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় নবাবগঞ্জ থানা থেকে সেকেন্ড অফিসার শফিকুল ইসলাম সুমন প্রবাসীকে তার মালামাল বুঝিয়ে দেন।
নবাবগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার জানান, রাত ১০টার দিকে টিকরপুর চক এলাকায় চেকপোস্টে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা সিএনজি চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তার কাছ থেকে মালামাল ও কাগজপত্র গুলো উদ্ধার করা হয়। ব্যাগে থাকা মোবাইল নম্বর দিয়ে প্রবাসীর সাথে যোগাযোগ করা হয়।
থানা ফটকে প্রবাসী মো. ইয়ানূছ খান জানান, দেড় মাস আগে তিনি বিদেশ থেকে দেশে আসেন। ফেরার বিমানের টিকিট নিশ্চিত করার জন্য ঢাকায় এসেছিলেন। তাছাড়া স্ত্রীও ঢাকার একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। বুধবার বিকালে শাশুড়ীর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে কেরানীগঞ্জের কদমতলী থেকে সিএনজি অটোরিক্সা যোগে হরিরামপুরের দড়িকান্দি গ্রামের শ্বশুর বাড়িতে ফেরেন। বাড়ির সামনে এলে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এই সুযোগে সিএনজি চালক মালামাল নিয়ে পালায়। রাতে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ কর্তৃক উদ্ধারের সংবাদ পাই।
ঐ প্রবাসী আরো জানান, বিদেশে অনেক জায়গায় ঘুরেছি। কতো রকমের পুলিশ দেখেছি। বাংলাদেশের পুলিশের প্রতি আমার ধারণা পাল্টে গেলো। আমার যা কিছু খোঁয়া গিয়েছিল সব ফিরে পেয়েছি। তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আরো বাড়লো।

আপনার মতামত দিন