ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের বাবুবাজার ব্রিজের ঢালে (কদমতুলী) মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল তিন জন মুমূর্ষু রোগীসহ ৫/৭ জন যাত্রী! আশেপাশে হাজারো মানুষের চলাচল হলেও তাদের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করছিলো না ব্যাস্ত মানুষগুলো। এ সময় এ রাস্তায় নিজ কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন ঢাকা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান সোহেল।সে সময় তিনি মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর সেই তিন হতভাগাদের জন্য যেনো আশির্বাদ হয়েই এলেন এই সরকারি কর্মকর্তা। নিজে কোলে তুলে নিজের সরকারি গাড়ীতে করে নিয়ে গেলেন হাসপাতালে।
প্রথমে পাশের থাকা কদমতুলীতে ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে জরুরি বিভাগ না থাকায় তারা চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করায় বাধ্য হয়ে নিতে হয় ঢাকা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে।
সেখানে ভর্তি থেকে শুরু করে প্রাথমিক চিকিৎসার বিল পরিশোধ করে তাদের পরিবার পরিজনের সাথে যোগাযোগ করেই নিজের কর্তব্য শেষ করেন এই সরকারি কর্মকর্তা। এমন আরও বহু কাজ করে আগে থেকেই কেরানীগঞ্জবাসীর মন জয় করেছেন এই কর্মকর্তা।
এর আগে আজ মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে ব্রিজের ঢালে কদমতলীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি সেগুনা। এতে এই তিনজনসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়।
কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা পুলিশের সার্জারী আবুল বাসার জানান, আমি ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের পাইনি। শুনেছি আহত শিমুল (২৮), অন্তর (১৫) এবং আবুল হোসেন (৫০) কে উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুল হাসান সোহেল। তারপর তিনি তাদেরকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। আমরা গাড়ীটি জব্দ করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় প্রেরণ করেছি।
এ ব্যাপারে উদ্ধারকারী কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহেল নিউজ৩৯কে জানান, আমি বাসা থেকে অফিসে যাচ্ছিলাম। বাবুবাজার ব্রিজ পার হতেই বহু মানুষের জটলা দেখে এগিয়ে যাই সেখানে। হাজারো মানুষের ভিড়ে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর লোকগুলোকে হাসপাতালে নেওয়ার কেউ ছিলো না। পরে আমি ও আমার ড্রাইভার মিলে তাদের হাসপাতালে নিয়ে ভর্তিসহ প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি।