সৌদি সরকার ঘোষিত সাধারণ ক্ষমায় আজ ২৯ মার্চ থেকে সৌদি আরবের অবৈধ অভিবাসীরা দেশে ফেরার সুযোগ পাবেন। তিন ধরনের অবৈধ অভিবাসীদের জন্য আলাদা আলাদা ধাপ অনুসরণ করে তাদেরকে দেশে ফিরতে কোনো ধরনের জেল-জরিমানায় পড়তে হবে না। শুধু সৌদি আরব ত্যাগের জন্য কয়েকটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।
দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, যারা কাজের ভিসা নিয়ে সৌদি আরব এসে ইকামা (রেসিডেন্ট পারমিট) এর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আর নবায়ন করেননি, নিয়োগকর্তা পলাতক দেখিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন, কাজের ভিসায় এসে কোনো কারণে সব কাগজপত্র হারিয়ে ফেলেছেন, ইমিগ্রেশনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেই, অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে সৌদি আরব প্রবেশ করেছেন, তাছরিহা (অনুমতিপত্র) ছাড়া হজ করতে গিয়ে মামলা হওয়ায় ইকামা নবায়ন হচ্ছে না, কারও ডিপেনডেন্ট হিসাবে থাকার পর এখন অবৈধ অথবা সৌদি শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে মামলা হয়েছে, যেসব অভিবাসীরা মেয়াদ আছে এমন পাসপোর্ট, পাসপোর্ট না থাকলে দূতাবাস থেকে আউটপাস (বিশেষ ট্রাভেল পাস) সংগ্রহ করে সেটা নিয়ে নিকটস্থ ইমিগ্রেশন অফিস, সফরজেল অথবা ডিপোটেশন সেন্টারে গিয়ে এক্সিট ভিসা সংগ্রহ করার পর বিমান টিকিট কিনে দেশে ফেরত যেতে পারবেন।
তিনি জানান, যারা হজ, উমরাহ, ট্রানজিট ভিসায় সৌদি আরবে প্রবেশ করেছেন এবং ইমিগ্রেশন বা পাসপোর্ট অধিদপ্ততরে ফিঙ্গার প্রিন্ট আছে তবে বর্তমানে কোনো কাগজপত্র সঙ্গে নেই, এমন প্রবাসীরাও দূতাবাস থেকে আউটপাস সংগ্রহ করে সেটা নিয়ে নিকটস্থ তারহিল, সফরজেল অথবা ডিপোর্টেশন সেন্টারে যোগাযোগ করে ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে ট্রাভেল রেকর্ড বা বর্ডার নম্বর সংগ্রহ করে, সেটা নিয়ে টিকিট করে দেশে ফিরতে পারবেন।
এ ছাড়া যারা হজ, উমরাহ অথবা ট্রানজিট ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করেছেন এবং সব প্রমাণাদি (ভিসা নম্বর, বর্ডার নম্বর, ভিসার কপি) সঙ্গে রয়েছে এমন প্রবাসীরা বিমান টিকিট নিয়ে সরাসরি বিমানবন্দরে গিয়ে সেখানে ইমিগ্রেশনের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে দেশে ফিরতে পারবেন বলে তিনি জানান। যেকোনো ধরনের মামলার আসামিরা এই ক্ষমার আওতামুক্ত থাকবেন।