সব হারালেন মান্নান খান: পেলেন না দফতর সম্পাদক পদটিও

283

রাজনীতি কি তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান। তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এখন ঘোর অমানিশা। হারিয়েছেন ২৩ বছর আগলে রাখা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক পদটিও। নির্বাচনকালে সর্বদলীয় সরকার গঠিত হলে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েন দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করতে গিয়ে দলের দফতর সম্পাদকের পদ হারান তিনি।

সারাজীবন বাম ঘরানার এই রাজনীতিকের বিধি এতটাই বাম যে, নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের কাছে হেরে যান তিনি। শুধু তা-ই নয়, নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় মানুষ হত্যার দায়ও চেপেছে তার কাঁধে।

গত সরকারের পাঁচ বছরে গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দাপটের সঙ্গে মন্ত্রণালয় চালিয়েছেন মান্নান খান। তার ভাই-ভাইপো ও ভাগ্নেদের আধিপত্য ছিল মন্ত্রণালয় জুড়ে। কাউকে পরোয়াই করেন নি। এলাকার নেতাকর্মীদের পাত্তা দেন নি তিনি।

সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১০৭ গুণ। এর খেসারত দিয়েছেন নির্বাচনে। এবার মন্ত্রী বা এমপি কোনো পদ জোটে নি কপালে। এমনকি দলের পদও হারিয়েছেন। তার পরিবর্তে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক হয়েছেন ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সম্প্রতি তাকে এ দায়িত্ব দেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় প্রধানের আস্থাভাজন হিসেবে বিবেচিতরাই এতদিন দফতর সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন।

অন্য খবর  বান্দুরায় দুই মাদকসেবীর কারাদন্ড

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি থেকে সামাজিক বিজ্ঞানে পিএইচডি আবদুস সোবহান গোলাপ শেখ হাসিনার আস্থার জায়গায় রয়েছেন বলে জানান দলটির নেতাকর্মীরা। তাছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও মাস্টারদা সূর্য সেন হল ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস ও ভিপি হিসেবে তার ব্যাকগ্রাউন্ডও কম সমৃদ্ধ নয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন মুক্তিযোদ্ধা গোলাপ। পঁচাত্তর-পরবর্তীকালে ছাত্রনেতা হিসেবে সক্রিয় গোলাপ জরুরি সরকারের আমলেও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাঙালিদের সংগঠিত করে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেশে ফেরার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন।

আপনার মতামত দিন