তীব্র গরমে মানালি-রোহটাং পাস বেড়াতে যেতে চান? তাহলে তৈরি থাকুন পথেই ১৮ থেকে ১৯ ঘন্টা সময় কাটানোর জন্যে। না, কোনও সম্ভাবনা নয়। এমনটাই বাস্তবে ঘটেছে দিল্লির বাসিন্দা রজত ঠাকুরের সঙ্গে।
মানালি থেকে ভোররাত ১টায় একটি ছয় আসনের ট্যাক্সিতে সওয়ার হয়েছিলেন রজত ঠাকুর। ইচ্ছে ছিল রোহটাং পাস-এ ঘন্টা তিনেক সময় কাটিয়ে আসবেন। অংশ নেবেন কিছু অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসেও। কিন্তু রাস্তার ভোগান্তি তাঁর সব পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিল। রাস্তার ভিড় ঠেলে তিনি যখন রোহটাং পাস পৌঁছালেন তখন ঘড়ির কাঁটায় দুপুর ১২টা। অতএব মাত্র ৫১ কিমি পথ অতিক্রম করতে গত বুধবার তাঁর সময় লেগেছিল প্রায় ১১ ঘন্টা। ফিরতি পথেও একই ভোগান্তি। দুপুর ৩টে রোহটাং পাস থেকে বেরিয়ে যখন মানালি ঢুকলেন তখন বাজে রাত ১১টা।
রবিবার টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে রজত ঠাকুর জানিয়েছেন তাঁর এই দুর্ভোগের বর্ণনা। মানালির মল রোড থেকে রোহটাং পাস যাওয়া আসার জন্যে তাঁরা ১২ হাজার টাকা খরচ করেছিলেন। কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতি। ২০১৫ সালে পরিবেশ রক্ষার খাতিরে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের তরফে রোহটাং, সোলাং এবং মারহি অঞ্চলে বাণিজ্যিক গতিবিধির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এই নিয়ম মেনে প্রতিদিন ১২০০টি ট্যাক্সি এবং ১০০টি প্রাইভেট গাড়িকে রোহটাং পর্যন্ত যাওয়া এবং ফিরে আসার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু এতে যাতে ব্যবসার ক্ষতি না হয়, সেই কারণে বহু ট্যাক্সিই বেআইনিভাবে পর্যটকদের নিয়ে রোহটাং পাসের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছে, যার ফলে রাস্তায় এই অচলাবস্থা তৈরি হচ্ছে।