স্টাফ রিপোর্টার: যারা নির্বাচন প্রতিহতের কথা বলছেন তাদের তালিকা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, আপনারা নির্বাচনে অংশ না নিতে চাইলে সেটি আপনাদের ব্যাপার। কিন্তু নির্বাচন বন্ধ করার, নির্বাচন হইতে দেবেন না বলার শক্তি আপনাদের নেই। যদি আপনারা সেই পথে হাঁটেন তাহলে যতগুলো নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হচ্ছে সেটি আপনাদের বিরুদ্ধে বাস্তবায়ন হবে। মার্কিন সরকার বলছে যারা নির্বাচনে বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাই যারা এ কথাটা বলছেন তাদের তালিকা করা হচ্ছে, সেটি মার্কিন সরকারকে দেয়া হবে যাতে তাদের ভিসা বাতিল করা হয়। মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁও এ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুনের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান প্রমুখ। সালমান এফ রহমান বলেন, বিএনপি যতই নির্বাচন বর্জনের কথা বলুক না কেন তারা কিন্তু ঠিকই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আমাদের কাজ হচ্ছে আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করা।
বিজ্ঞাপন
নির্বাচনের জন্য কাজ করা। নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের আগ্রহের বিষয়ে তিনি বলেন, বিদেশিরা কী চায়? তারা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের বেস্ট প্রক্রিয়া হচ্ছে ইভিএম। কারণ ইতোমধ্যে এটি প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু বিএনপি বললো এটা তারা মানে না।
তার সাথে সাথে বিদেশিরাও বললো উনারা যখন ইভিএম চাচ্ছে না তাই এটা বাদ দেয়া হোক। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ঠিক আছে ইভিএম বাদ দেব। কিন্তু নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। এবং সেটি হবে বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে। আরও আসবে। সালমান এফ রহমান বলেন, আজ বিরোধীরা নানা কথা বলছেন, শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেয়ার কথা বলছেন।
আগেও অনেকগুলো তারিখ দিয়েছেন কিন্তু কিছুই হয়নি। এখন তারা স্যোসাল মিডিয়াতে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছেন। যেটি তাদের দুর্বলতার একটি পরিচয়। তারা যখন দেখছেন গণতান্ত্রিকভাবে শেখ হাসিনাকে মোকাবিলা করতে পারছেন না তখন এমন প্রচার শুরু করেছেন। এমনকি আমার সম্পর্কেও বলেছে, আমাকে না কি আমেরিকা ভিসা দেয়নি। অথচ আমি মনে করি বাংলাদেশের মধ্যে যাদের সঙ্গে মার্কিন সরকারের ভালো সম্পর্ক রয়েছে তার মধ্যে আমি একজন। আমার ভিসা বন্ধ করে দেয়ার তথ্য মিথ্যা। বিরোধীরা এখন ডেস্পারেট হয়ে গেছেন। মিথ্য তথ্য প্রচার ছাড়া তারা এখন আর কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না।
