মেঘলা বাজারে ডাকাতি; পুলিশের তৎপরতায় রক্ষা পেল ব্যবসায়ীরা

1267
মেঘলা বাজারে ডাকাতি

পুলিশের তৎপরতায় দূর্ধর্ষ ডাকাতির হাত থেকে রক্ষা পেল দোহারের মেঘুলা বাজারে ব্যবসায়ীরা। রবিবার মধ্যরাতে সংঘবদ্ধ ডাকাতের হামলা থেকে অন্তত আটটি স্বর্ণালঙ্কার ও পাইকারি চালের দোকানিরা  রক্ষা পেয়েছেন।

বাজার সমিতির সভাপতি মো. রুবেল কাজি জানান, ডাকাতরা গত রোববার রাত দেড়টার দিকে মেঘুলা বাজারের মাত্র ২০০ গজ দূরে ট্রলার থেকে পদ্মাতীরে নামে। এ সময় তারা অস্ত্রের মুখে বাজার ও নদীতীর এলাকায় বাজারের নৈশপ্রহরী ও কয়েক দোকানিকে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে।

এর পর তারা বাজারের স্বর্ণপট্টির আটটি দোকানের তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। পরে ব্যবসায়ীরা পুলিশে খবর দিলে কর্তব্যরত টহল টিমের ওসি (তদন্ত) মো. ইয়াছিন মুন্সি দ্রুত বাজারে পৌঁছলে ডাকাতরা ট্রলারে পালিয়ে যায়। এ সময় তারা মাখন কর্মকারের স্বর্ণের দোকান থেকে দুই ভরি স্বর্ণ, ২০ ভরি রুপাসহ সাড়ে দশ হাজার টাকা লুটে নেয়।

ডাকাতের কবলে পড়া দোকানগুলো হলো- মোসলেম হাওলাদারের চালের আড়ত, মায়ের আশীর্বাদ স্বর্ণালঙ্কার, লক্ষ্মী সাহা স্বর্ণালঙ্কার, স্বপন রাজবংশী স্বর্ণালঙ্কার, স্বপন ধর স্বর্ণালঙ্কার, ননী রাজবংশী স্বর্ণালঙ্কার ও ডা. বাবু চক্রবর্তীর ফার্মেসি।

নারিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন দরানী বলেন, নদী ভাঙনের কারণে বর্তমানে পদ্মা নদী বাজারের ২০০ গজের মধ্যে থাকায় আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ ডাকাত দল এর সুবিধা নিয়েছে।

অন্য খবর  বঙ্গবন্ধুর শান্তির বাণী ছড়িয়ে পড়ুক দেশ ও দেশের বাইরে: আলমগীর হোসেন

এ বিষয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, সংবাদ পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছানোয় বড় ধরনের কোনো অঘটন হয়নি। তিনি আরও জানান, এ এলাকায় বাজার কমিটি দুর্বল ও নামমাত্র পাহারাদার নিয়োগ দিয়েছে। এ বিষয়ে বাজার কমিটি নিয়ে দ্রুত আইন-শৃঙ্খলা সভা করা হবে।

আপনার মতামত দিন