মান্নান খান দম্পতির সম্পদ বিবরণী চেয়ে দুদকের নোটিশ

302

সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান এবং তার স্ত্রী সৈয়দা হাসিনা সুলতানার সম্পদ বিবরণী চেয়ে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। মঙ্গলবার দুপুরে দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের স্বাক্ষরে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
মান্নান খানের দোহার উপজেলার গ্রামের বাড়ি এবং ঢাকাস্থ ধানমণ্ডির বাসভবনের ঠিকানায় দুদকের নিজস্ব বার্তা বাহকের মাধ্যমে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির পর সাত কার্যদিবস এবং আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও সাত দিবসসহ ১৪ কার্যদিবসের মধ্যে দুদক সচিব বরাবর তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে হবে।
দুদক সূত্র জানায়,১৩ মার্চ সাড়ে ৯ কোটি টাকার সম্পদের ‘সন্দেহজনক উৎস’ শনাক্ত করে মান্নান খান দম্পতির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করে তাদের সম্পদ বিবরণী চেয়ে নোটিশ পাঠানোর সুপারিশ করা হয়। কমিশন মঙ্গলবার এ নোটিশ অনুমোদন করলে গতকালই নোটিশ জারি করা হয়।

সূত্র মতে, দশম জাতীয় সংসদের হলফনামায় উল্লিখিত অস্বাভাবিক সম্পদ বিবরণীর সূত্র ধরে ২২ জানুয়ারি দুদক সরকারদলীয় যে সাত ভিআইপির দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়,আবদুল মান্নান খান তাদের একজন। দশম জাতীয় সংসদের হলফনামা অনুযায়ী প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাঁচ বছরে অর্থ-সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে স্থাবর সম্পত্তি দেখানো হয় ৪ কোটি টাকার বেশি। অথচ নবম সংসদের হলফনামায় নিজের সম্পদের পরিমাণ ১০ লাখ ৩৩ হাজার টাকা বলে উল্লেখ করেন।
পাঁচ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ১০৭ গুণ। দশম সংসদের হলফনামায় ১ কোটি ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার ২২৭ টাকার উৎস দেখিয়েছেন মৎস্য চাষ। তার স্ত্রী সৈয়দা হাসিনা সুলতানা গৃহিণী হওয়া সত্ত্বেও উল্লেখ করেছেন ‘ব্যবসায়ী’ হিসেবে। মৎস্য খাত থেকে স্ত্রীর আয় দেখিয়েছেন ৮৫ লাখ টাকা।
দুদক অনুসন্ধানে মান্নান খান কিংবা তার স্ত্রীর নামে কোথাও কোনো মৎস্য খামারের অস্তিত্ব পায়নি। তবে ২৭ ফেব্র“য়ারি দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে মান্নান খান তার দোহার-নবাবগঞ্জ সংলগ্ন আড়িয়াল বিলে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে মৎস্য চাষ করেছেন বলে জানান।
এভাবে বিভিন্ন খাতে সাড়ে ৯ কোটি টাকার সন্দেহজনক অর্থ পাওয়া যায়। এ পরিপ্রেক্ষিতে মান্নান খান দম্পতির সম্পদ বিবরণী চেয়ে নোটিশ পাঠানোর সুপারিশ করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মোঃ নাসির উদ্দিন।

আপনার মতামত দিন