নিউজ৩৯♦ নবাবগঞ্জের দোহার উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রমত্তা পদ্মার করাল স্রোতে প্রতিবছরই সর্বশান্ত হয় কয়েক হাজার পরিবার।
গত বর্ষা মৌসুমে অগণিত পরিবার ভাঙনের শিকার হয়ে হায়িছে বসত বাড়ী ফসলের জমি সহ সবকিছু। শুষ্ক মৌসূমে নদীতে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলণের ফলে নদীর পানি প্রবাহের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। কিন্তু থেমে নেই বালুদস্যুরা এবছর শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই আবার সক্রিয় হতে শুরু করেছে চক্রটি।
প্রতিবছরের মতো এবারো স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্র ছায়ায় এলাকায় বালুদস্যুরা বালু উত্তোলণের প্রক্রিয়া করছে। জানা যায়, ইতিমধ্যে কয়েকটি বালু কাটার মেশিন দোহারের নদী তীরবর্তী এলাকায় দেখা গেছে। তাছাড়া নদী তীরবর্তী স্থানে জমা করা হচ্ছে লোহার পাইপ। নারিশা পশ্চিমচর এলাকায় পাইপ গুলো জরো করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এবছর দোহারের বাহ্রাঘাট ও নারিশা ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেছিলেন, অপরিকল্পিত ড্রেজিংয়ের ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে নদী ভাঙনের সৃষ্টি হয়। কিন্তু সম্প্রতি দোহারের নারিশা পশ্চিমচর ও মেঘুলা হিন্দুপাড়া এলাকার পদ্মাপাড়ে ৩টি বালুকাটার ইঞ্জিন চালিত নৌকা দেখা গেছে।
ভাঙন কবলিত নদী তীরবর্তী এলাকার কয়েকটি পরিবার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রশাসন এবিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে আগামী বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক ভাঙনের শিকার হতে হবে।
এ বিষয় দোহারের সমাজ সেবক মো. বাদল বেপারী জানান, পদ্মা নদী থেকে বালু ব্যবসায়ীরা বালু উত্তোলনের ফলে দোহার উপজেলার নারিশা ও নয়াবাড়ি ইউনিয়নের প্রায় ২ হাজার পাকা আধাপাকা ঘর বাড়ি প্রায় ১০ হাজার বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে নারিশা ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পাকা-আধাপাকা সড়ক, দুটি পাইকারি হাট বাজারসহ ৩ হাজার ঘর বাড়ি। আবারও বালু ব্যবসায়ীরা নদী থেকে বালু উত্তোলণ করলে এসব স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুল হুদা বলেন, পদ্মার তীর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রয় করা চিরতরে বন্ধ করতে হবে।দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল করিম ভুঁইয়া বলেন আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বিষয়টি সস্পর্কে কথা হয়েছে ও উপজেলা প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।