ঢাকার দোহার উপজেলায় ছাত্রলীগ কর্মী ও সরকারি পদ্মা কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র কিশোর ফয়সাল হত্যার প্রতিবাদে সরকারি পদ্মা কলেজ সহ ফুলতলা বাজার এলাকায় মানব বন্ধন করেছে সরকারি পদ্মা কলেজের শিক্ষার্থী, পদ্মা কলেজ ছাত্রলীগ ও স্থানীয় এলাকাবাসী। মানব বন্ধনে তারা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফয়সাল হত্যার আসামীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানায়। এসময় তারা হত্যার প্রতিবাদে ও খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় বিক্ষোভে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে আন্দোলনে ফেটে পড়ে এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।
এই মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয় দোহার উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়নের শান্তিনগর, খরিয়া, বেথুয়া, ঢালারপাড়সহ মুকসুদপুর ইউনিয়নের প্রায় দুই সহস্রাধিক নারী-পুরুষ। এছাড়া পদ্মা কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ ফুলতলা বাজারের ব্যবসায়ী, সাধারন মানুষসহ পাশে দলমত-নির্বিশেষে সকলে এই হত্যা কান্ডের প্রতিবাদ জানায়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচি শেষ হয় বেলা ১২টায়।
বিক্ষোভ সমাবেশে মুকসুদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ হান্নান খান বলেন, এই নির্মম হত্যাকান্ড আমাকে বেদনাহত করেছে, আমি প্রশাসনের কাছে আহবান জানাচ্ছি যত দ্রুত সম্ভব অপরাধিদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতাভুক্ত করা হোক।
ঢাকা জেলা(দক্ষিণ) ছাত্রলীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন সোহাগ বলেন, ছোট ভাই বা কর্মী হারানো সত্যি বেদনাদায়ক, এ বেদনা কতটা কষ্টকর তা বলে বুঝানো যাবেনা।আমি যত দ্রুত সম্ভব এই হত্যার বিচার চাই। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কে বলেতে চাই আপনার এই নির্মম হত্যাকারীদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করেন।
নিহত ফয়সালের লাশ পোস্টমর্টেম এর জন্য ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, পোস্টমর্টেম শেষে আজই লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হবে।