ফুটপাতের কেনাকাটা: ঈদের অন্য বাজার

150
ফুটপাতের কেনাকাটা

ঈদের কেনাকাটা বলতে মুহূর্তে বড় বড় শপিং মলের দৃশ্য মনে ভাসে, কিন্তু তার বাইরেও একটি অবহেলিত বাজার আছে। সব মানুষের সাধ্য নেই বড় দোকান বা মার্কেট থেকে কেনাকাটা করার, তারা কোথায় যায়? এমন মানুষের সংখ্যা কিন্তু কম না। তাই ফুটপাতের ঈদ বাজারও এখন জমজামাট।

জয়পাড়া পাইলট স্কুল মার্কেটর ফুটপাতের দোকানগুলোতে স্বল্প আয়ের মানুষের ভিড় বেড়েছে। স্বল্প দামে ও সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পোশাক পাওয়া যায় বলে ফুটপাতের দোকানে ছুটে আসেন স্বল্প আয়ের লোকজন। তবে সেখানকার বিক্রেতাদের দাবি, বেচাকেনা খুব একটা ভালো হচ্ছে না। হয়তোবা আর কয়েকদিন গেলে বেচাকেনা আরো বৃদ্ধি পাবে।

ফুটপাতের ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, ফুটপাতের দোকানগুলোর জন্য হাজার হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয় না। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নেই কোনো আলোর ঝলকানি। ফলে স্বল্প লাভে ফুটপাতের বিক্রেতারা ক্রেতাদের দরদামে পোশাক দিয়ে থাকেন। ক্রেতারাও স্বাচ্ছন্দ্যে নিয়ে থাকেন।

ব্রাহ্রা থেকে শপিং করতে আসা ক্রেতা সজীব হোসেন জানান, বড় দোকানগুলো থেকে আমার পক্ষে প্যান্ট কেনা সম্ভব নয়। এ জন্য ছেলেকে এখানে নিয়ে এসেছি প্যান্ট কিনতে। ছেলের পছন্দমতো ৩০০ টাকা দিয়ে জিন্স প্যান্ট কিনে দিলাম।

অন্য খবর  মুকসুদপুরে নছিমন চাপায় রিক্সা চালক আহত

ফুটপাতের দোকানদার মো: শহিদুল ইসলাম জানান, নিজেরাই ব্যবসা করি। এতে কর্মচারী বেতন, আলোর ব্যবস্থাসহ নানান ধরনের খরচ হয় না। স্বল্প লাভে বড় দোকানের তুলনায় কম দামে পোশাক বিক্রি করতে পারি। তবে এবার ফুটপাতের কেনাকাটা ভালো হচ্ছে না বলেও দাবি তাঁর।

আপনার মতামত দিন