আছিফুর রহমান♦ “যাকে হাতে ধরে রাজনীতি শিখিয়েছি, কোথাও গেলে তার জন্য আমার পাশে নিজে একটা সিট রেখেছি, সেই লোক আমার নামে কুৎসা রটায় যে আমি আওয়া্মী লীগের রাজনীতি করি না। সারা জীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে নিজের হাতে তৈরী করা একজন নেতার মুখে যদি এই কথা শুনতে হয়, তখন খুবই দূঃখ পাই” মন্তব্য করেছেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দোহার উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান।
গতকাল বিকেলে নারিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী সভায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফজলুল রহমানকে উদ্দ্যেশ্য করে তিনি একথা বলেন।
নারিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নতুন আহবায়ক কমিটি নিয়ে বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একটি অংশ। তারই পরিপ্রেক্ষিতে নারিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই কর্মী সভা ডাকা হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুবু বলেন, “সেই ৭১ থেকে আওয়ামী লীগের সাথে আছি, আছি দোহারের মানুষের সাথে। দোহারের মানুষকে সাথে নিয়ে স্বৈরাচারী খালেদা-নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, জেল জুলুমের শিকার হয়েছি। কিন্তু সব সময়ের বঙ্গবন্ধুর আর্দশের রাজনীতি করেছি। কিন্তু কেউ কেউ আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটায়, সেটা অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে, সেই শাহীন খন্দকার থেকে শুরু, মান্নান খানে শেষ। কেউ আমার জনপ্রিয়তায় বিন্দুমাত্র আঘাত হানতে পারেন নি।”
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফজলুর রহমানকে বন্ধা নেতা উল্লেখ করে মাহবুবুর রহমান বলেন, “সে তার জীবনে এক জন কর্মীও তৈরী করতে পারেন নি। সে বরাবরই দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। আজ সেই আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাকে আমি কখনোই পাই নি দলের প্রয়োজনে, সে সব সময় ছিল মান্নান খানের পরিবারের আস্থাভাজন, তা্ই দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে যখন মোতালেব খাঁ লাঞ্চিত করেছিল তাকে আমরা পাই নি। সে সব সময় নিজের আখের গোছানোয় ব্যস্ত ছিল।”