থেমে আছে বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা বাঁধের কাজ

448

পদ্মা তীরবর্তী উপজেলা দোহারে নদী ভাঙ্গন নতুন কোন বিষয় না। সরকার আসে সরকার যায়, কিন্তু সমাধান হয় না নদী ভাঙ্গন। প্রতিবারই সংসদ নির্বাচনের সময় এক গাঁদা প্রতিশ্রুতি নিয়ে পদ্মা তীরবর্তী ইউনিয়ন নয়াবাড়ী, মাহমুদপুর, বিলাশপুর, মুকশেদপুর ইউনিয়নে প্রচার করলেও নির্বাচন শেষে বছরে একবারও সংসদ সদস্যদের দেখা পায় না এই ইউনিয়নগুলোর অবহেলিত জনগন।

গত কয়েক বছর ধরে শুরু হবে হবে করেও শুরু হচ্ছে না ভাঙ্গন রোধ কারী এই বাধ গুলো। যদি ও বাধগুলো এই এলাকার মানুষের প্রানের দাবী তার পরও এদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই এই এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। প্রতিটি ইউনিয়নের মানুষই রাত কাটাচ্ছে এই আশংকায় যে আজ রাতই হতে পারে তার নিজ ভিটায় শেষ রাত।

বাধের কারনে গত কয়েক বছরে কয়েক মাইল নদী ভাঙ্গন হয়েছে দোহার উপজেলায়। এই মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে দোহারের সর্ব পশ্চিমের ইউনিয়ন নয়াবাড়ি। গত পাচঁ বছরে এই ইউনিয়নের ৩ কিলোমিটার জায়গা নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। যে পদ্মা নদী পাঁচ বছর পূর্বে বাহ্রা ঘাট থেকে ৩ থেকে সাড়ে তিন কিলো মিটার দূরে ছিল তা আজ বাহ্রা ঘাটের পাড় ঘেষে আছে।

অন্য খবর  আমি বঙ্গবন্ধুর দূর্নীতিমুক্ত শোষণহীন সাম্যের সোনার বাংলা গড়বো – মাহাবুবুর রহমান

এই বারও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন শুরুর আলামত। এই ই মাঝে ভাঙ্গতে শুরু করেছে বির্স্তীন এলাকা। আতঙ্কের মাঝে বাস করছে এই ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। এরই মধ্যে নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে অন্য বাড়িতে উঠেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ।

এই ভাঙ্গন পরিদর্শন করতে সোমবার বাহ্রা ঘাটে গিয়েছিলেন দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল আমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও গৃহায়ন ও গনপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান সহ আরো অনেকে। তারা  বরাবরের মতো এবারও প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন অতি শিঘ্রই শুরু হবে এই বাধের কাজ।

ভাঙ্গনের কবলে ধুলশুড়া বাজার

এই ব্যাপারে নিউজ ৩৯ কথা বলেছে নয়াবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ হান্নানের সাথে। বাধের ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি নিউজ ৩৯ কে জানান গত কয়েক বছর ধরে ইউনিয়ন পরিষদের নিজ উদ্যোগ, ইউনিয়ন বাসীর সহযোগিতায় বাধের কাজ করা হলেও এবার আর তা করা সম্ভব হচ্ছে না। কারন এই বার নদী ভাঙ্গন ভয়ংকর রূপ ধারন করতে পারে যা এই ছোট খাট বাধের মাধ্যমে রোধ করা সম্ভব না। এবার আর সরকারী সহযোগিতা ছাড়া কিছু করা সম্ভব না। তাকে উপর থেকে কোন সহযোগিতা আসছে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন মন্ত্রী মহাদয় সবসময় আমাদের বলে আসছেন এই বার বাধের কাজ শুরু হবে এই বার বাধের কাজ শুরু হবে। কিন্তু বাধের কাজ আর শুরু হচ্ছে না। তিনি বলেন  মন্ত্রী মহদয় বলেছেন কিছু আমলাতান্ত্রীক জটিলতার কারনে বাধের কাজ শুরু হচ্ছে না।
এই আমলা তান্ত্রীক জটিলতার ভুতে আটকা পড়েছে এই চার ইউনিয়নের মানুষ। তাদের প্রশ্ন আর কত দেরীতে এই আমলা তান্ত্রীক জটিলতার ভুত তাদের ছাড়বে? আর কবে শুরু হবে পদ্মা ভাঙ্গন রোধ করার জন্য এই বাধের কাজ।

আপনার মতামত দিন