সংবিধান সমুন্নত রেখেই নির্দলীয়, নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন সম্ভব: নাজমুল হুদা

257

চুল পরিমাণ না নড়েও যে বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধানকে সমুন্নত রেখে একটি নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও অবাধ জাতীয় নির্বাচন সম্ভব, সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ/উপ-অনুচ্ছেদের উদ্ধৃতি দিয়ে এ বিষয়ে অবহিত করতেই আমি আপনাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমার প্রস্তাবসমূহ নিম্নরূপ :

১। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের ৪৮(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ প্রদান করবেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠিত করতে এবং সেই লক্ষ্যে জাতির স্বার্থে বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগ করতে।

২। মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর এতদসংক্রান্ত পরামর্শ অনুযায়ী দুই নেত্রীর সম্মতিক্রমে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অপর চারজন নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ প্রদান করবেন।

৩। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের ৫৫(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তার নির্বাহী ক্ষমতা নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের হাতে ন্যস্ত করবেন।

৪। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুচ্ছেদ ৭২(১) এর দ্বিতীয় শর্ত মোতাবেক মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেবেন এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেবেন।

৫। সংসদ ভেঙে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংবিধানের ৫৭(১) (খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর পদ শূন্য হবে।

৬। সংসদ ভেঙে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংবিধানের ৫৮(১) (খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মন্ত্রী পরিষদের অন্যান্য মন্ত্রীদের পদ শূন্য হবে।

অন্য খবর  এসএসসি পরীক্ষায় দোহারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর রেজাল্ট

৭। মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং তার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করতে নির্দেশ দেবেন এবং সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ-বদলিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর সব দায়িত্ব এবং ক্ষমতা নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাহ করবেন। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকালীন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে সরকারের রুটিন কাজসমূহ সম্পাদন করবেন (সংবিধানের ৫৫(২) ও ১১৯(২) অনুচ্ছেদ অনুসরণে)।

৮। সংবিধানের ১২৩(৩) (খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন সংসদ ভেঙে যাওয়ার তারিখ হতে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করবেন এবং জাতীয় নির্বাচনের ফলশ্রুতিতে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনকালীন অতিরিক্ত দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হবে।

দুই নেত্রীর নেতৃত্বাধীন দুই জোটের এ বিষয়ে সংলাপ এখন সময়ের দাবি। জাতির প্রত্যাশা এই সংলাপই দেশকে এক অবশ্যম্ভাবী দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে, নিশ্চিত করতে পারে নির্বাচনকালীন এক শান্তিপূর্ণ সোহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশের। প্রয়োজন শুধু সদিচ্চার।

আপনার মতামত দিন