গত ৮ এপ্রিল ২০১৬, নিউজ৩৯ এ জনস্বার্থে প্রকাশিত রাস্তার মাঝে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর দায়িত্ব কার…? শিরোনামের সংবাদ প্রকাশের পর পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ খুঁটিটি সরিয়ে নিয়েছে।
সে সময় নিউজ৩৯-এর সাক্ষাৎকারে রাস্তার মাঝে ৩৩ হাজার ভোল্টের খুঁটি সরানোর বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রকৌশলী তারেক ইকবাল মাহামুদ জানিয়েছিলেন, ”সমস্ত খরচ ধরেই টেন্ডার করা হয়েছে। বিদুতের খুঁটী সরানোর কাজটি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের করার কথা’’।
আর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম.আর. কন্সট্রাকশনের কর্ণধার আব্দুল বাতেন মিয়া জানিয়েছিলেন, ”পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর দায়িত্ব আমাদের না, এ দায়িত্ব পল্লী বিদুতের। আমরা খুঁটিটি সরানোর জন্য পল্লী বিদ্যুতে জানিয়েছি।’’
খুঁটিটি কবে নাগাদ সরানো হবে তখন জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুতের ডিজি এম জানিয়েছিলেন, ’’সড়ক ও জনপদ বিভাগ কিংবা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কেউই আমাদেরকে এ বিষয়ে অবগত করে নি। আমরা এ বিষয়ে কিছু জানি না। আপনাদের মাধ্যমে জানলাম – আমরা এখন ব্যবস্থা নিব। ’’
(পূর্বের ছবি)
উল্লেখ্য এই সড়কটি মানিকগঞ্জ-দোহার-মাওয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক হওয়ায় প্রতিদিন এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৮/১০ হাজার গাড়ী ও সাধারণ জনগণ। কুসুমহাঁটি ইউনিয়নের সবচেয়ে ব্যস্ততম রাস্তা হলো কার্তিকপুরের এই সড়কটি। মহাসড়কটি কার্তিকপুর হয়ে মৈনটঘাট ও বাহ্রাঘাট হয়ে মানিকগঞ্জ সদর পর্যন্ত চলে গেছে।
গত ৬ জুন সোমবার সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে কার্তিকপুর বাজার সংলগ্ন তিন রাস্তার মোড়ে ঝুকিপূর্নভাবে দাঁড়িয়ে থাকা পল্লী বিদ্যুতের ৩৩হাজার ভোল্ট ক্ষমতা সম্পূর্ণ খুটিটি পূর্বের অবস্থায় আর দাঁড়িয়ে নেই। সেখান থেকে খুটিটি প্রায় ৬ ফুঁট দূরে রাস্তার পাশে স্থাপন করা হয়েছে। এতে পূর্বের তুলনায় বর্তমানে দূর্ঘটনার আশংকা যেমন কমে গেছে তেমনি স্বস্তি ফিরেছে স্থানীয় জনগণের মাঝে।
তারা ধন্যবাদ জানিয়েছেন নিউজ৩৯-কে এই রকমভাবে সর্বদা জনস্বার্থে থাকার জন্য।