চলতি বর্ষায় পদ্মা নদীর অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার হাজার হাজার পরিবার। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, আবাদী ফসল ও ঘরবাড়ি। শহর রক্ষা বেড়ীবাঁধের বাইরের ৫টি ওয়ার্ডের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে।
ভারিবর্ষণ ও জোয়ারে পদ্মার পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বালেঙ্গা, রাজাপুর, চারাখালী, ঘোষাইল, আর-ঘোষাইল, খাটবাজার, কঠুরী, আশয়পুর, রায়পুর, পানিকাউর, তিতপালদিয়া ও কল্যাণশ্রী গ্রামের মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। এসব এলাকার ৬ টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পানিবন্দী পরিবারের লোকজন তাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠানোসহ গৃহপালিত পশু- গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগী নিয়ে বিপাকে পড়েছে। পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই। নিরাপদ পানি ও পশু খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ছোট বড় রাস্তা-ঘাট তলিয়ে এখন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে পানিবন্দী মানুষ ব্যবহার করছে নৌকা ও কলাগাছের ভেলা। খাটের উপর বাড়ি তৈরি চুলায় রান্না করে দিনাদিপাত করছে। পানিবন্দী মানুষের অনেকেই বেরীবাঁধের উঁচু স্থানে তাদের গবাদী পশুসহ আশ্রয় নিয়েছে।
জয়কৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নের ১০ টি গ্রাম এখন পানিবন্দী। তাদের জন্য দ্রুত ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্ধ দেয়া হবে। ইতোমধ্যে ইউএনও এবং পাউবো কর্মকর্তা পানিবন্দী এলাকা পরিদর্শন করেছে।