ফয়সাল হোসেন,news39.net: রোববার (৮ আগস্ট) সকালে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শোল্লা এলাকায় পারিবারিক বিরোধের জেরে মেয়ের জামাইয়ের হাতে খুন হয়েছেন শ্বাশুড়ি। নিহতের নাম হামিদা বেগম (৪৫)। এছাড়া, মেয়ে তানিয়া এবং তার ছোট ভাইকে গুরুতর আহতাবস্থায় হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, মেয়ের জামাই শাওন মোল্লা তার স্ত্রী তানিয়াকে ছুরিকাহত করলে, মেয়েকে বাচাতে ছুটে আসেন শাশুড়ি ও শ্যালক। তখন শাওন হামেদা বেগমকে কুপিয়ে আহত করে। গুরুতর আহত ৩ জনকে হাসপাতালে নেয়ার পথে পথিমধ্যে হামেদা বেগম মারা যান বলে জানিয়েছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ।
নিহত হামিদা ওই গ্রামের মহিদুল বেপারীর স্ত্রী। এই ঘটনায় জামাতা শাওন মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েকবছর আগে হামিদা মেয়ে তানিয়াকে বিয়ে দেন উলাইল এলাকার কাদের মোল্লার ছেলে শাওনের সাথে। দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে দ্বন্ধ চলছিল তানিয়া ও শাওনের মাঝে। দু’পক্ষ মিমাংসা না হওয়ায় একপর্যায়ে ডিভোর্স হয়। ডিভোর্সের পর রবিবার সকালে তানিয়াকে জোরপূর্বক তুলে নিতে আসলে হামিদা এবং তার ছেলে হাসান বাধা দিতে আসলে, তাদেরকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। আহত অবস্থায় হামিদা বেগম এবং তার মেয়ে তানিয়া ও ছেলে হাসানকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে হামিদাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। তবে হাসান এবং তানিয়াকে উন্নয়ন চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়৷
নবাবগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে এবং মামলা হয়েছে। এছাড়া, স্থানীয়দের সহযোগিতায় শাওনকে আটক করেছে পুলিশ৷ তবে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে৷