news39.net: ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা সোরহাব হোসেনকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে স্থানীয় দুই আওয়ামী লীগ কর্মী আইনদ্দিন ও আব্দুস সাত্তার। বুধবার সন্ধ্যা ৭.৩০টায় নিজ গ্রাম শৈল্যা জামে মসজিদ থেকে নামাজ পরে বের হবার অতর্কিত হামলার শিকার হন এই আওয়ামী লীগ নেতা। গুরুতর আহত সোরহাবকে বুধবার রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে বেশ কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সিরাজুল ইসলাম (পি.পি.এম) তাৎক্ষনিক গুরুতর আহত সোরহাবের খোঁজ নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। তিনি দ্রুত এই মামলার আসামিদেরকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যে পুলিশ আসামিদেরকে ধরতে এলাকায় অভিযান চালিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ননায় জানা যায়, আহত সোরহাব হোসেন নয়নশ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য। বুধবার সন্ধ্যা ৭.৩০ এর দিকে শৈল্যা জামে মসজিদ থেকে নামাজ পরে বের হবার পর অতর্কিত হামলার শিকার হন সোরহাব হোসেন। হামলায় নেতৃত্ব দেন নয়নশ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজ ব্যাপারি ছেলে ছাত্তার বেপারী ও বোরহানের ছেলে আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি প্রার্থী আইনুদ্দিন। এ সময় তাদের সাথে আরো দশ থেকে পনের জন হামলায় অংশ নেন। হত্যার উদ্দেশ্যে তার মুখে ও মাথায় ধারালো অস্ত্রে দিয়ে কোপানো হয়। আহত সোরহাবের চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
সূত্র জানায়, সাত্তারের গাজা/ইয়াবা এবং সাত্তারের ছেলের ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করাতেই আক্রমনের শিকার হন সোরহাব হোসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতা নিউজ৩৯কে জানান, সোরহাব ভাই এর উপর হামলায় নেতৃত্ব দেন নয়নশ্রী ইউনিয়নের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার ও জমির দালাল আইনদ্দিন। সোরহাব ভাই তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার কারনেই আজ হামলার শিকার হলেন তিনি। এই পরিবারের ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস করে না। এদেরকে এই অঞ্চল থেকে সমুলে উচ্ছেদ করা না গেলে এই এলাকার শান্তি আসবে না।
এদিকে নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সিরাজুল ইসলাম (পি.পি.এম) বলেন, আমি নিজে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার খোঁজ নিয়েছি। দ্রুত এই মামলার আসামিদেরকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে । কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও হুমিয়ারি করেন তিনি।