ঢাকার অদূরে নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাঙ্গাভিটা ও এপার মাইলাইল এলাকায় ইছামতী নদী থেকে অবৈধভাবে খননযন্ত্র বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকটি চক্র। এ কারণে নদীর দুই পাড় ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইছামতীর এপার মাইলাইল এলাকায় একটি ও ভাঙ্গাভিটা এলাকায় চারটি খননযন্ত্র বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী চক্র। এ ছাড়া নদীর তীরেও খননযন্ত্র ও কোদাল দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। এখান থেকে উত্তোলনকৃত বালু নিয়ে অন্যত্রে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অবাধে আবাদি জমিতে জলাশয়ের সৃষ্টি হচ্ছে। এভাবে এলাকার অন্তত কয়েক শ বিঘা আবাদি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। মাটি কাটায় ও বালু উত্তোলনে কয়েকবার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেও এলাকাবাসী ব্যর্থ হন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, এ চক্রের ক্ষমতা আর টাকার কাছে এলাকাবাসী জিম্মি হয়ে পড়েছে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ পলাশ বলেন, অত্র এলাকায় অবৈধ খনন কাজ বন্ধ করার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, যাতে এসব কাজে বাধা না থাকে সেজন্যই একটি চক্র সুপরিকল্পিতভাবে তার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। মনে হচ্ছে যুবলীগ কমিটিতে যাতে পলাশ কোন পদ না পায় সেজন্য আমাকে বালু উত্তোলন কাজে জড়ানোর চেষ্টা করছে একটি গ্রুপ। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা আমার বিষয়ে অবগত আছে। তিনি আরো বলেন, পলাশ নয়- বরং যারা পলাশকে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে বিতারিত করতে চেয়েছে সেই কুচক্রি মহলই- দীর্ঘদিন ধরে ইছামতী নদীর কৈলাইল শালিকা, মাইলাইল পয়েন্টে নদী থেকে বালু উত্তোলন ও পাড় থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছেন।