মাহমুদুল হাসান সুমন,news39.net: হাইকোর্ট বিভাগে নতুন বিচারপতি নিয়োগের তোড়জোড় চলছে। ‘নিয়োগযোগ্য’ ব্যক্তিদের নাম এখন বিবেচনার টেবিলে। কাদের নাম আছে তালিকায়, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা নাকি আইনজীবী, এ নিয়ে বিচারঙ্গনে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
বরাবরের মতোই রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সদস্য ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা—এই তিন ক্যাটাগরি থেকে উচ্চ আদালত তথা হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রপতি শিগগির হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের মধ্যে অ্যাডভোকেট মিনহাজুল হক চৌধুরী, আমিনুল হক হেলাল, আব্দুর রাজ্জাক রাজু, মো. মুজিবুর রহমান, বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া, এ বি এম নূর-এ আলম (উজ্জ্বল) ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার এম শফিকুল ইসলামের নাম আলোচিত হচ্ছে।
নুর-এ-আলম উজ্জ্বল ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ফজলে নুর তাপসের একান্ত সহযোগী। তিনি ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়নের মইতপাড়া গ্রামের অধিবাসী।
তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০১৭-২০১৮ সালের কার্যকরী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়ে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাব বিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করে সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে এল.এল. বি. ডিগ্রি ও প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল. এল. এম. ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস এর জুনিয়র হিসেবে আইনপেশা শুরু করেন।
তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন ( লিয়াকত শিকদার ও নজরুল ইসলাম বাবু কমিটি) ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন উপকমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক কলাবাগান ক্রীড়াচক্র এবং সদস্য শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতির সংখ্যা ৮৪ জন। এর মধ্যে তিনজনকে অসদাচরণের অভিযোগে বিচারিক দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় হাইকোর্ট বিভাগে ১২ থেকে ১৬ জন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। এরই মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ জনের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে তাদের নাম আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।