স্কুলজীবন থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতন্ত্রচর্চার অভ্যাসসহ সাতটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও মূল্যবোধ অর্জনে সারাদেশের সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচনের অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দোহারে ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষার্থীরা সরাসরি ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের নেতা নির্বাচন করবে। এই নির্বাচনে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো ছাত্রছাত্রী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে। একজন ভোটার সর্বোচ্চ আটটি ভোট দেবে। এর মধ্যে প্রতি শ্রেণিতে একটি করে এবং যেকোনো তিন শ্রেণিতে সর্বোচ্চ দুটি করে ভোট দিতে পারবে। প্রতি শ্রেণি থেকে একজন করে প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। পাঁচ শ্রেণিতে পাঁচজন নির্বাচনের পর তাদের মধ্য হতে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত তিনজন নির্বাচিত হবে। নির্বাচনী প্রচারের জন্য কোনো রকম ছাপানো পোস্টার, ফেস্টুন, লিফলেট ব্যবহার ও দেয়াল লিখন করা যাবে না। তবে শিক্ষার্থীদের হাতে লেখা পোস্টার, ফেস্টুন, লিফলেট ব্যবহার করতে পারবে। তবে প্রতিষ্ঠানের সীমানা বা চত্বরের বাইরে প্রচার করা যাবে না। নির্বাচন পরিচালনার জন্য শিক্ষার্থীদের নিয়েই তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং সহকারী শিক্ষকরা দশম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অষ্টম ও নবম শ্রেণির একজন করে দুজন শিক্ষার্থীকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে মনোনীত করবেন। নির্বাচন ও এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রয়োজনে একজন সহকারী শিক্ষককে সমন্বয়কারী হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবেন। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট কক্ষ স্থাপন করে গোপনীয়তার সঙ্গে ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। স্টুডেন্টস কেবিনেটের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা প্রথম সভায় একজন প্রধান প্রতিনিধি মনোনীত করবে। একই সঙ্গে প্রত্যেকের দায়িত্ব বণ্টন এবং সারা বছরের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে। পাশাপাশি প্রতিটি শ্রেণি থেকে দুজন করে সহযোগী সদস্য মনোনীত করতে হবে, যারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সহায়তা করবে। তাদের ভোটাধিকার থাকবে না। প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ সংরক্ষণ (বিদ্যালয়, আঙিনা ও টয়লেট পরিষ্কার এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পুস্তক ও শিখন সামগ্রী, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সহপাঠ কার্যক্রম, পানিসম্পদ, বৃক্ষ রোপণ ও বাগান তৈরি ইত্যাদি দিবস ও অনুষ্ঠান উদ্যাপন, অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ণ এবং আইসিটি) এই ৮টি প্রধান দায়িত্বে আটজন প্রতিনিধি দায়িত্ব পালন করবেন। স্টুডেন্টস কেবিনেট প্রতি মাসে কমপক্ষে একবার সভা করবে। ছয় মাস পর সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতিতে সাধারণ সভা করতে হবে। কেবিনেটের মেয়াদ হবে এক বছর।
এই নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং অফিসারসহ শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বও ছিল শিক্ষার্থীদের উপর। শিক্ষক, পরিচালনা পরির্ষদ এবং অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করেন। এসময় স্কুল কেবিনেট নির্বাচনের পরিস্থিতি দেখতে বিভিন্ন স্কুল গুলো পরির্দশন করেন দোহার উপজেলার শিক্ষা অফিসার মোঃ লিয়াকত আলী। তখন তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং আজহার আলী স্কুলের ব্লাড বাস্ক দেখে বলেন যে এই গুলো পরিবর্তন করতে হবে এই কাগজের বাস্ক দিয়ে নিবার্চন হবে না।
দোহার কাটাখালি মেছের খান উচ্চ বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ অহিদুল ইসলাম খান অনু বলেন যে স্কুলের শিক্ষার্থীরা আনন্দ সাথে নিবর্বাচন করছে তারা উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট প্রাধন করেছে।