জয়পাড়া মডেল স্কুলে প্রধান শিক্ষক অপসারণের গুজব

267

নিউজ৩৯  জয়পাড়া মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ পালকে দূর্ণীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্কুলের একটি সূত্র।  তার এক্সটেনশনের মেয়াদ পূর্তির পূর্বেই তাকে অপসারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিন ধরেই জয়পাড়া মডেল স্কুলে শিক্ষকদের মাঝে দু’টি ধারাইয় বিভক্ত ছিল। এ নিয়ে তাদের মাঝে শারিরিক লাঞ্চনার ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া প্রধান শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ পাল ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মোশতাক আহমেদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ বিরাজ করছিল। আর এতে আরো বেশি প্রকট হয়ে পড়ে তাদের মধ্যকার বিভাজন। এছাড়া রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রসাশনিক প্রভাব মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে শিক্ষা কার্যক্রমকে।এরই সাথে যুক্ত হয় শিক্ষকদের ছাত্রদের জিম্মি করে প্রাইভেট বাণিজ্য, যা বাড়িয়ে শিক্ষকদের মধ্যকার রেশারেশি। এক সময়ের আলোকিত দোহারের প্রধান এই বিদ্যাপিঠ হারিয়ে ফেলে তার সুনাম। বরংচ আলোচিত হয়ে পড়ে শিক্ষকদের মধ্যকার দ্বন্দ নিয়ে। ফলে মডেল স্কুল ঘোষিত হলেও এস এস সি, যে এস সি বা পি এস সি’তে ফলাফল হয়নি আশানুরূপ। প্বার্শবর্তী বেগম আয়েশা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কলেজের অনুমোদনের ক্ষেত্রে এগিয়ে গেলেও পিছিয়ে পড়ে অনেকের ভালোবাসার স্কুল জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জে স্কুলের মাঠ দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ

একটি অসমর্থিত সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, ৯ই ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এস এস সি পরীক্ষার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড হতে কেন্দ্র সচিব করা হয় সহকারী প্রধান শিক্ষক মোশতাক আহমেদকে। যেহেতু ইন্দ্রজিৎ পাল চাকুরীর মেয়াদ শেষে এক্সটেনশনে আছেন তাই বিধি অনুযায়ী বোর্ড এই ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তবে অসমর্থিত সূত্র থেকে জানা যায়, মোশতাক আহমেদ বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের নিকট অভিযোগ করেন যে, সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে প্রধান শিক্ষকের নিকট বিদ্যালয়ের আলমারী ও কক্ষের চাবি থাকায় তিনি দায়িত্ব পালনে নিরাপদ নন। সেই মোতাবেক বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের নির্দেশ মোতাবেক স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও দোহার থানা নির্বাহি কর্মকর্তা শামীমুল হক পাভেল জরুরী সভা ডেকে ইন্দ্রজিৎ বাবুকে বলেন “ You are not more here.” আপনি আগামিকাল এসে রেজ্যুলেশন করে দায়িত্ব সহকারী পধান শিক্ষকের নিকট বৃহস্পতিবার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিবেন।

তবে বৃহস্পতিবার ইন্দ্রজিৎ বাবু পস্কুলে আসেননি বলে জানা যায়।

বিষয়টি বর্ত্মানে এই অবস্থায় ঝুলন্ত আছে, যা অনিশ্চিত করেছে হাজার হাজার এস এস সি পরিক্ষার্থীর জীবনকে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ১১২ বছরের পুরানো প্রাচীন এই বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির কারো কারো নিয়ে ছিল দূর্নীতির বিস্তর অভিযোগ। আবার সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি কোন প্রসাশনিক আদেশ সহজে মানেন না। এইসব নিয়ে স্থানীয় একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে প্রধান শিক্ষকের ইমেজকে। পত্রিকাটি স্কুলের ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত অর্থনইতিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করে।

আপনার মতামত দিন