দোহার-নবাবগঞ্জে মরিচের ঝাঁযে প্রাণ ওষ্ঠাগত

161
দোহার-নবাবগঞ্জে মরিচের ঝাঁযে প্রাণ ওষ্ঠাগত

দোহার / নবাবগঞ্জ(ঢাকা) প্রতিনিধি: ঈদের ছুটিতে সবাই এসেছে গ্রামের বাড়িতে। এরই মধ্যে চলছে আষাঢ়ের ঘন কালো মেঘের অঝোর বৃষ্টি। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা কম, তবুও লাগামহীন কাঁচা মরিচসহ নিত্যপণ্যের দাম।

শনিবার (১জুলাই) দোহার উপজেলার জয়পাড়া বাজার,ইউসুফপুর বাজার,লটাখোলা নতুন বাজার,মেঘুলা বাজার,হরিচন্ডি বাজার, বাংলাবাজার,বৌবাজার,দোহার বাজার, নারিশাবাজার,হলের বাজার এবং নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষনপুর, বান্দুরা, গোল্লা, নবাবগঞ্জ, শোল্লা, কোমরগঞ্জ বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায় কাঁচা মরিচের দাম ৬০০ থেকে ৬৫০ এবং কোথাও ৭০০ টাকা কেজি। হাতেগোনা ক্রেতা-বিক্রেতা থাকলেও বাজারে কমছে না সবজি, মাছ ও মুরগিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম।

ইউসুফ বাজারের সবজি ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন জানান, বেশ কয়েকদিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী কাঁচা মরিচের দাম। বর্তমানে দাম কেজি প্রতি ৬৫০/-. রসুন এবং আদার দামও ঊর্ধ্বগতি একইভাবে।একদিকে ঈদ, অন্যদিকে বর্ষকালে সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে। আর ক্রেতাদের দাবি, সিন্ডিকেট করে বিক্রেতারা কাঁচা মরিচের দাম বাড়াচ্ছেন। এর পেছনে অসাধু ব্যবসায়ীরা দায়ী।

বাংলাবাজারের বিক্রেতা লাল মুদ্দি বলেন, কোরবানির পশু আনা-নেওয়ার কাজে ট্রাকগুলো ব্যস্ত থাকায় কাঁচা মরিচের সরবরাহ হয়নি।

জুবায়ের নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে কাঁচা মরিচের দাম লাগামছাড়া। ইতোমধ্যে সরকার আমদানির অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছেন।

অন্য খবর  ডেঙ্গু নিধনে মাঠে ঢাকা জেলা (দঃ) ছাত্রলীগ সভাপতি ও দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান

বান্দুরা বাজারের কাঁচাবাজার বিক্রেতা জালাল জানান, বর্তমানে কাঁচাবাজারে প্রায়ই সব কিছুর দাম বেড়েছে তবে আদা,রসুন, কাঁচা মরিচের দাম বেশী। আমরা ঈদের আগে মুরিচ ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি সেই মরিচ এখন ৬০০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। আদা ঈদের আগে ছিল ৩২০ টাকা এখন হয়েছে ৪০০টাকা। রসুন ঈদের আগে ছিল ১৮০ টাকা এখন ২০০ টাকা কেজি এছাড়া টমেটো ছিল ১৬০ টাকা কেজি এখন ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে। দাম বাড়ার কথা জানতে চাইলে তিনি জানান আমরা যেখান থেকে কাঁচামাল কিনে আনি সেখান থেকেই মালের দাম বেশি রাখছে। তারা বলছে গাড়ি আসে না এবং বৃষ্টিতে কাঁচামালের অনেক ক্ষতি হয়েছে সে জন্য সব স্থানেই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

জয়পাড়া বাজারে মরিচ কিনতে আসা হুসেন আলী এক ক্রেতা বলেন, মরিচ ছাড়া তরকারি রান্না করা যায় না। অন্য মসলা না থাকলেও চলে, মরিচ ছাড়া তরকারি স্বাদ হয় না। কিন্তু যেভাবে দাম বাড়ছে তাতে মরিচ কেনাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।

এদিকে, বাজারে অন্যান্য সবজির দামও ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিটি সবজি কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে প্রতিকেজি করলা ১০০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪৫-৫০ টাকা, টমেটো ২০০ থেকে ২২০ টাকা, বেগুন ৯০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, আলু ৪০ টাকা ও শসা ৬০ টাকা।

অন্য খবর  জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের

দাম বেড়েছে পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের। বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা, আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। প্রকারভেদে প্রতি কেজি আদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা এবং রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়,টমেটোও বেড়ে হয়েছে ২০০ টাকা।

ঊর্ধ্বমুখী মাছের বাজারও। আকারভেদে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৬০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। দেশি শিং ১ হাজার ২০০ টাকা ও শোল ৯শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিকেজি টেংরা মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতল ৩৮০ থেকে ৪৩০ টাকা, পাবদা ৬০০ থেকে ৮০০, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আপনার মতামত দিন