দোহার-নবাবগঞ্জে প্রতীক বরাদ্দের দিনেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

164

আল-আমিন, মোঃ শরিফ হাসান, স্টাফ রিপোর্টার, news39.net: দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলার ৬ষ্ঠ ধাপে ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতিক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলা চত্বরে উপলক্ষে প্রার্থীদের সঙ্গে আসা হাজার হাজার লোক স্বাস্থ্যবিধি মানার তোয়াক্কা না করে উপজেলা চত্বরে আসতে থাকে। নির্বাচন কমিশনারকেও মাস্ক পরিধান করতে দেখা যায়নি।
দোহার-নবাবগঞ্জে সামাজিক দুরত্ব তো দূরের কথা কারো মুখে মাস্ক না থাকায় ওমিক্রন সংক্রমনের ঝুঁকিতে পড়েছে সবাই। এ রকম লোকসমাগম নিয়ে সচেতন মহল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। করোনা ওমিক্রন সংক্রমন রোধে ইতোমধ্যে বিধি নিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এসময় সবত্রই স্বাস্থ্যবিধির উপেক্ষা লক্ষ করা গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দোহার উপজেলার পাঁচটি ও নবাবগঞ্জ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন থেকে আসা চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংরক্ষিত নারী প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতীক বরাদ্দ নিতে আসা হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। উপজেলা চত্বরে লোকসমাগমের কারণে তিল ফেলার ঠাঁই ছিল না। একে অপরের গা ঘেঁষে দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে যার যার প্রার্থীর প্রতিকের অপেক্ষা করতে থাকে। কারো মুখে মাস্ক না থাকায় ওমিক্রন সংক্রমনের ঝুঁকিতে পরে সবাই। স্বাস্থ্যবিধি মানা নিয়ে উদাসীন ছিলো সবাই।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন মঞ্জু news39.net কে বলেন, স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। আর প্রতিক বরাদ্দের সময়ে সকলকে সচেতন করা হয়েছে।
দোহার উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ফিরোজ মাহমুদ নাঈম news39.net কে বলেন, এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা news39.netকে বলেন, শনিবার আমাদের মিটিং আছে। এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেয়া হবে যেন সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে।
এ বিষয়ে দোহার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম news39.net পক্ষ থেকে ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: জসিম উদ্দিন news39.net কে বলেন, ওমিক্রনের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে হলে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আর এটি সরকারী সিদ্ধান্ত। আমাদের যেহেতু অতীত অভিজ্ঞতা আছে সেহেতু নতুন করে কাউকে বলার কিছু নাই। এই সময়ে এরকম লোকসমাগম আমাদের সবাইকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। তাই আশা করছি দ্রুতই সবাই সচেতন হবে এবং মাস্ক পরিধান করবে।

আপনার মতামত দিন