ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে দুর্ভোগ বেড়েছে পানিবন্দী মানুষের। এই এলাকার ৬৫ হাজার বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য আসেনি কোনো ত্রাণ-সহায়তা।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র ভাগ্যকুল গেজ স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে গতকাল শনিবার বেলা দেড়টা পর্যন্ত ৩ সেন্টিমিটার পানি কমে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ সেন্টিমিটার পানি কমার পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র।
অপরদিকে গত পাঁচ দিনেও দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় সরকারি ত্রাণ পৌঁছেনি বলে জানা গেছে। সরেজমিনে বন্যাদুর্গত এলাকায় জানা যায়, নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাবাজু, তিতপালদিয়া, পানিকাউর, আশয়পুর, কুঠুরী, রায়পুর, কেদারপুর, ঘোষাইল, আরঘোষাইল, সাতবাজার, রাজাপুর, বালেঙ্গা, কান্তারটেক, নয়াডাঙ্গি, চারাখালি, মঠবাড়ি, পূর্বচর ও শিকারীপাড়া ইউনিয়নের সোনাতলা, নূরপুর চরসোনাতলা, বিষমপুরসহ ২২টি গ্রামের কর্মজীবী লোকজন পানিবন্দী হয়ে আছেন। কাজে বেরোতে না পেরে কষ্টে চলছে তাঁদের জীবন। কৃষকের আউশ-আমন ধানসহ সবজিখেত নষ্ট হয়ে গেছে।
নবাবগঞ্জের চর সোনাতলা গ্রামের কৃষক কালু ব্যাপারী জানান, তাঁর সবজিখেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
শিকারীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলিমুর রহমান খান বলেন, গত পাঁচ দিনেও সরকারিভাবে কোনো ত্রাণ এলাকায় পৌঁছেনি। এতে বন্যাদুর্গত লোকদের কাছে যেতে পারছেন না তাঁরা।
দোহারের রাধানগর গ্রামের সালেহা বেগম জানান, এই কয়দিনে কোনো জনপ্রতিনিধি তাঁদের খোঁজ নিতে আসেননি। পরিবার-পরিজন নিয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন।
মাহমুদপুর ইউপির চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন মুন্সি বলেন, তিনি দুর্গত লোকজনের খোঁজ নিচ্ছেন। তবে কোনো ত্রাণ-সহায়তা দিতে পারেননি।
দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম আল-আমীন বলেন, শুক্রবার দুর্গত এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি, খাওয়ার স্যালাইনসহ কিছু ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে। তবে দু-এক দিনের মধ্যে সরকারি ত্রাণ আসতে পারে।
নবাবগঞ্জের ইউএনও শাকিল আহমেদ বলেন, তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ত্রাণ এলে দেওয়া হবে।