দোহার-নবাবগঞ্জে ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি 

324
পদ্মা নদীতে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ঢাকা জেলার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দুই উপজেলার

পদ্মা নদীতে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ঢাকা জেলার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দুই উপজেলার অন্তত ২০ হাজার বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। সব মিলিয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এর মধ্যে দোহার উপজেলার পরিস্থিতি ভয়াবহ। এই ভয়াবহ পরিস্থিতেও দোহারে এখনও শুরু হয় নি কোন ত্রান কার্যক্রম। যদিও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আল আমিন আশ্বাস দিয়েছেন অতি দ্রুত ত্রান কার্যক্রম শুরু হবে দোহার উপজেলায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, দোহার উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের রাধানগর, দেবিনগর, চর বিলাসপুর, কুলছুড়ি, আলমবাজারসহ অধিকাংশ এলাকার বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে ইউনিয়নটির প্রধান প্রধান সড়কসহ কয়েকটি হাট-বাজার। এ ছাড়া সুতারপাড়া ইউনিয়নের মধুরচর, নারিশা ইউনিয়নের মেঘুলা বাজার, নারিশা জোয়ার, রানীপুরসহ মুকসুদপুর ও মাহমুদপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকা গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।

দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আল-আমিন বন্যাকবলিত বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করে সরকারি সাহায্যের আশ্বাস প্রদান করেন।

বন্যা দুগত অঞ্চলে অতি দ্রুত ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ত্রান বিতরন শুরু হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এছাড়া দোহারে নির্মাণাধীন বাঁধ যাতে কোন ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেই দিকেও তিনি লক্ষ রাখছেন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে এই ব্যাপারে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।

অন্য খবর  দোহারে ইঞ্জিনিয়ার মেহবুব কবিরের শীতবস্ত্র বিতরন 

এদিকে, দোহার উপজেলার নয়াবাড়ি ইউনিয়নে ২১৭ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত চলমান পদ্মা বাঁধ প্রকল্পের দুটি স্থানে বাঁধ উপচে পানি ঢুকছে। বাঁধের বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে ভাঙন। বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এ ছাড়া নবাবগঞ্জের কাশিয়াখালী বেরিবাঁধের একাধিক স্থান দিয়ে পানি ঢুকছে নবাবগঞ্জের কয়েকটি এলাকায়। দোহারের ২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও নবাবগঞ্জের অন্তত ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

আপনার মতামত দিন