দোহার-নবাবগঞ্জে থার্টি ফার্স্ট নাইট, অবাধে ঢুকছে নেশার সামগ্রী

356

থার্টি ফার্স্ট নাইট বা পহেলা বৈশাখ আধুনিকতার সাথে সাথে দোহার-নবাবগঞ্জে একটি নতুন ধারা চালু করেছে। সে ধারায় খিচুড়ী পার্টির সাথে নতুন ধারায় যুক্ত হয়েছে সীসা পার্টি, ইয়াবা ও লাল পানি। আর এ ব্যাপারে তাদের সহায়তা করছে বিদেশে থাকা বড় ভাই / দুলা ভাইয়ের এনে দেয়া বোতল বা টাকা। মেয়েরা পারিবারিকভাবে সীসা বিশেষতঃ বিদেশ থেকে আনা ফ্রুটস সীসা সেবন করে থাকে। আর এই প্রোগ্রামগুলোতে পরিবারও টাকা দিয়ে থাকে এই ভেবে যে; এই বয়সের ছেলেরা এই-আধটু আনন্দ উৎসব করেই থাকে, ব্যাপার না।  

নতুন বছরকে স্বাগতম জানানোর রীতি বাংলাদেশে পুরাতন নয়। পুরনোকে পিছনে ফেলে নতুনকে উৎসব মুখোরভাবে বরন করে নেয়া বাঙ্গালীদের কাছে নতুন নয়। আবহমান কাল থেকে উৎসব প্রিয় জাতি হিসাবে আনন্দ আর উৎসবের ভিতরে নতুন বছরকে বরন করে নেয়ার যে সুস্থ্য সংস্কৃতি আমাদের ছিল সময়ের সাথে সাথে তার জায়গায় স্থান করে নিয়েছে অসুস্থ্য সংস্কৃতি। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সমাজে স্থান নিয়েছে নেশার মতো ভয়ংকর ব্যধি। সেই সুত্রধরে আজ নতুন বছরকে বরন করে নেয়ার উৎসবের জন্য দোহারে আজ অবাধে ঢুকছে বিদেশী মদ।

অন্য খবর  বেগম আয়েশা পাইলটে শিক্ষক-কর্মচারী ধর্মঘট

উৎসবে মদ্যপানের যে রেওয়াজ দোহারে শুরু হয়েছে তার অন্যতম একটা ভাল সময় থার্টি ফার্স্ট নাইট। ইংরেজি নতুন বছরকে বরন করে নেয়ার যে বিজাতীয় সংস্কৃতি আমাদের সমাজে প্রবেশ করেছে তা আমাদের উপকারতো দুরের কথা সামান্যতম দেশীয় মূল্যবোধকেও সমূলে বিনাশ করে দিচ্ছে। উন্মুত্ত সাউন্ড সিস্টেমের সুরের তালে তালে এই মদ্যপানকে বর্তমানে ফ্যাশনে পরিনত করেছে এই বিশেষ শ্রেনীর যুব সমাজ। ফলে মদ্যপানকেও স্বাভাবিক করে ফেলেছে এরা।

নতুন বছরকে সামনে রেখে থার্টি ফার্স্ট নাইটকে আরো আনন্দময় করে তুলতে ইতি মধ্যে সাজ সাজ রব পরে গেছে এই বিশেষ সম্প্রদায়ে। এই উৎসবকে আরো রঙ্গিন করতে এই সমাজের একটা অংশ ইতিমধ্যে রওনা দিয়েছে ঢাকায়। উদ্দেশ্য বিশেষ লাল পানির ব্যবস্থা। আরেক গ্রুপ যারা অর্থনৈতিক ভাবে একটু দুর্বল তারা রওনা দিয়েছে নবাবগঞ্জের প্রত্যন্ত মদ পল্লীতে। সেখান থেকে বাংলা মদ এনে তাদের নব বর্ষ বরনকে রঙ্গীন করে তোলায় তাদের উদ্দেশ্য। 

তাছাড়া স্থানীয় ভাবে আজ রাতের জন্য সংগ্রহ করা হচ্ছে গাঁজা, ইয়াবা, হিরোইন। উল্লেখ্য মঙ্গলবারই দোহারে হিরোইন সহ ধরা পড়েছে ৩ যুবক। ধারনা করা হচ্ছে থার্টি ফার্স্ট নাইটের উৎসবকে আরো রঙ্গীন করার জন্য আনা হয়েছিল এই হিরোইন। এরকম আরো কত হিরোইন আজ নেশার জন্য ব্যবহার করা হবে তা এখনো জানা নেই আমাদের। শুধু হিরোইন না নতুন ক্রেজ ইয়াবার পিছনেও ছুটছে নেশা গ্রস্থ এই সব তরুনেরা।  

অন্য খবর  মানবিক কাজে থেমে নেই ছাত্রলীগ

দোহার নবাবগঞ্জে আজকের এই নেশা দ্রব্য প্রবেশে দোহার নবাবগঞ্জ পুলিশ কি ভূমিকা পালন করছে তার জন্য নিউজ৩৯ কথা বলে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমানের সাথে। তিনি জানান, আজকের এই নেশাদ্রব যাতে নবাবগঞ্জে প্রবেশ করতে না পারে তার সার্বিক ব্যবস্থা নিয়েছেন। কিন্তু বিশাল এরিয়া ও নবাবগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চল নিয়ে আজকের এই দিনে পরিস্থিতি তিনি কতটা সামাল দিতে পারেন তা নিয়ে তিনি সন্দিহান।

এদিকে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হক নিউজ৩৯ কে বলেন, নেশা দ্রব্যের প্রবেশ রোধে থানা প্রশাসন ব্যাপক ব্যবস্থা নিয়েছে। তারপরও যে কোন ধরনের সমস্যা মোকাবেলায় থানা প্রশাসন সব সময় প্রস্তুত থাকবে।  

আপনার মতামত দিন