নির্বাচনের অনেক নির্বাচনি হাওয়ায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দোহারের রাজনৈতিক পরিবেশ। প্রতিদিনই কোন না কোন রাজনৈতিক দলের অথবা এদের অঙ্গসংঙ্গঠনের কর্মীসভা, মতবিনিময় সভায় সরগরম থাকছে দোহার-নবাবগঞ্জের আনাচে কানাচে। একই সাথে উৎকন্ঠায় আছে সাধারন মানুষ। আছে সংর্ঘষের আশংকা।
“দোহার-নবাবগঞ্জ অনেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী জন্ম দিয়েছে। কিন্তু তারা আপনাদেরকে বারবার ওয়াদার বরখেলাপ করেছে। ঢাকার এতো কাছে আমাদের বাস। ঢাকা জেলার অন্যতম প্রধান অংশ আমরা। অথচ আমরা গ্যাসের মতো একটা নিত্যদিনের সম্পদ ব্যবহার পারছি না। ফলে পিছিয়ে পড়ছি আমরা। তাই আমার প্রথম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দোহার-নবাবগঞ্জে গ্যাস আনা” বলেছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি। জয়পাড়া কলেজ মাঠে জাতীয় পার্টির যুবসংহতীর আয়োজিত পরিচিতি সভায় এ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম একথা বলেন।
বিকাল ৪টায় কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান মাধ্যমে শুরু হয়। এরপর জাতীয় পার্টির স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন। এই সময় তারা দোহার-নবাবগঞ্জের প্রতি বর্তমান সরকারের সমালোচনা ও উন্নয়নের অবহেলার কথা জনতার সামনে তুলে ধরেন। তারা সমাবেশ করতে বাধা দেয়ার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম পাভেলের ব্যাপক সমালোচনাও করেন।
নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদেরকে সুসংহত করার জন্য দির্ঘদিন ধরেই জনগনের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে সালমা ইসলাম। সেই লক্ষ্যে জাতীয় পার্টির দোহার উপজেলার যুব সংহতীকে শক্তিশালী করতে দোহার উপজেলা যুবসংহতী জয়পাড়া কলেজ মাঠে এক পরিচিতি সভা আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, “আমি দোহার ও নবাবগঞ্জের মানুষকে কিছু দিতে এসেছি। কোন সম্পদ নয়, নিতে এসেছি দোয়া আর প্রতিদানে আপনাদের ভালবাসা চাই। সবাইকে তো ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলেন, এইবার পল্লী বন্ধু এরশাদের দলকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে দেখুন। আমরা আপনাদেরকে কি দেই। আর ভোট দিয়ে আপনাদের প্রতারিত হতে হবে না। আমাদের ভোট দিলে দেশে সন্ত্রাসী থাকবে না, টেন্ডারবাজী থাকবে না। আমাদের ভোট দিন, আমি আপনাদের গ্যাস এনে দিবো। দোহার-নবাবগঞ্জকে বাংলাদেশের মডেল হিসাবে আমি সারাদেশ ও বিশ্বের দরবারে তুলে ধরবো। আর এতে আপনাদের ছেলে নুরুল ইসরাম বাবুল আছেন আমাদের পাশে।” এসময় তিনি হাত তুলে সবাইকে তাকে ভোট দেওয়ার শপথ করান।
এসময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব নুরুল ইসলাম, ঢাকা জেলা যুবসংহতীর সাবেক সভাপতি দেলুয়ার হোসেন খান মিলন, জাতীয় ছাত্রসমাজের যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান, ঢাকা জেলা যুবসংহতির আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন, দোহার উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন আল আজাদ, জাতীয় পার্টির নবাবগঞ্জ উপজেলার যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম বেলাল সহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী।