দেশে প্রথম মায়ের কিডনি কন্যার দেহে সফল প্রতিস্থাপন

36
দেশে প্রথম মায়ের কিডনি কন্যার দেহে সফল প্রতিস্থাপন

দেশে প্রথমবারের মতো মায়ের দেওয়া কিডনি কন্যার দেহে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে এই কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়।

এ সময় উপাচার্য বলেন, রোগী যেন দেশের বাইরে না যায়, সে লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল কাজ করছে। দেশের মানুষ ট্রান্সপ্ল্যান্ট বিশেষ করে কিডনি, লিভার, কর্নিয়া ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বিদেশে যায়। আরও বিদেশে যায় ক্যান্সার, ইনফার্টিলি, জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট, আর্থোস্কপিক, স্টেমসেল থেরাপি, রোবটিক সার্জারি, বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট, হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার প্রয়োজনে। আমরা এসব চিকিৎসা সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে শুরু করতে চাই। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকে আমাদের অন্যরকম একটি দিন। আমাদের সামনে কিডনি দাতা মা ও কিডনি গ্রহীতা মেয়ে হাসিমুখে বসে আছেন। এমন হাসিমাখা মুখ সব রোগীর ক্ষেত্রে আমরা দেখতে চাই।

সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল সূত্র জানায়, ফরিদপুরের বাসিন্দা ১৭ বছরের কিশোরী শ্রাবণী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ফেইলর হয়ে অসুস্থ ছিলেন। তার মা ৪৫ বছর বয়সী মনোয়ারা মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে এসে নিজের একটি কিডনি দান করার সম্মতি প্রদান করেন। কিডনি দাতা ও গ্রহীতার সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। এ কিডনি প্রতিস্থাপনে নেতৃত্ব দেন বিএসএমএমইউ’র ইউরোলজি বিভাগের রেনাল ট্রান্সপ্ল্যান্ট ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল।

অন্য খবর  ডা. সংযুক্তার বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা

এ অনুষ্ঠানে কিডনি গ্রহীতা ও দাতাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা এবং কেক কেটে বিদায় জানানো হয়। হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাদের হাতে ওষুধও তুলে দেন উপাচার্য।

আপনার মতামত দিন