নবাবগঞ্জের দীর্ঘগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো

279

মো. শামীম, নিউজ৩৯.নেট ♦ ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নের দীর্ঘগ্রামে  খালের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে ৫ হাজার লোক। সাঁকোটি দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না করায় ১ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষকে।

তারপরও ঝুঁকি নিয়ে কাঠের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন খাল পারাপার হচ্ছে স্কুল, কলেজ, মাদরাসার সহস্রাধিক ছাত্র-ছাত্রী। এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘগ্রাম খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণ দু’পাড়ের জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি।

বিগত দিনে জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও এ পর্যন্ত এলাকাবাসীর ভাগ্যে দুর্ভোগ ছাড়া আর কিছুই জোটে নি। দু’পাড়ের এলাকাবাসীর চলাচলে একটি কাঠের সাঁকো আছে। এ সাঁকো দিয়ে কোনো রকমে পারাপার সম্ভব হলেও কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করা সম্ভব হয় না।

ফলে এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ঘুরে যেতে হয় তাদের। কাঁচা রাস্তার অবস্থাও নাজুক। বর্ষা মৌসুমে তলিয়ে যায় পানিতে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় রাস্তার বিভিন্ন স্থান ভেঙে খানা-খন্দে ভরে গেছে, যা বর্তমানে পায়ে হাঁটারও অনুপযোগী। একারণে এলাকাবাসী তাদের উৎপাদিত খাদ্যশস্য, কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন কাঁচামাল স্থানীয় বাজারসহ অন্যান্যহাটে নিয়ে যেতে অসুবিধার সম্মুখীন হন।

অন্য খবর  দোহারের ফুলতলায় ডাকাতি: ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট

অন্যদিকে,  ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে অনেকটা ভয়-ভীতির মধ্যে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠান। অনেক সময় যাতায়াতকারী পথচারীরা সাঁকো ভেঙে নিচে পড়ে আহত হন।

খালেরও পাড়ে দীর্ঘগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জৈনতপুর আশরাফুল উলূম মাদরাসা  রয়েছে। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য,  হাট-বাজার, কৃষি কাজ,  লেখাপড়া, স্বাস্থ্য সেবার জন্য দু’পাড়ের মানুষকে প্রায় সময়ই খালপার হতে হয়। কিন্তু এলাকার অবহেলিত মানুষদের সেতুর অভাবে কখনও কাঠের সাঁকো আবার কখনও ছোট নৌকায় পার হতে হয়।

এলাকার স্বপন মিয়া বলেন,  আমরা এ অঞ্চলের অবহেলিত জনগণ অনেক দিন ধরে একটি ব্রিজের স্বপ্ন দেখে আসছি; কিন্তু আমাদের স্বপ্ন যেন স্বপ্নই রয়ে গেল। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নটি বাস্তব রূপ ধারণ করল না।

দীর্ঘগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, আমার স্কুলে মেয়েদের ঠের সাঁকো দিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়।

আপনার মতামত দিন