প্রকৃতির কাছে মানুষ যে কত অসহায় তা দোহারের পদ্মা পাড়ের মানুষের বর্নণাতীত কষ্ট না দেখলে বোঝা যায় না। জীবনের একমাত্র সহায় সম্বল ভিটে মাটি হারিয়ে যখন স্বাভাবিক অবস্থা সম্পন্ন মানুষ রাস্তায় নেমে আসে, হয়ে যায় উদ্বাস্তু সে কষ্ট অনুভবের ক্ষমতা তাদের নেই যারা কোনদিন তা দেখেনি। এমনি জীবন সংগ্রামে আজ দিশেহারা দোহারের পদ্মা পাড়ের মানুষ।
বছর বছর প্রতিশ্রুতি আসে, হয়তো আসে ২/১ দিন চলার মতো ত্রাণ, তারপর যার জীবন তাকেই সংগ্রাম করতে হয়, হারিয়ে যায় লোক দেখানো এসব উন্নয়ন পরিকল্পনা।
ইতোমধ্যে নারিশা ও সুতারপাড়া ইউনিয়নের বেশ কিছু জমি পদ্মার প্রবল থাবায় বিলীন হয়ে গেছে। দিশেহারা হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষ। প্রতিদিনই বিলীন হচ্ছে এলাকার বসত বাড়িসহ মূল্যবান সম্পত্তি। এ অঞ্চলের অধিকাংশ লোক জলভূমির উপর নির্ভর করে জীবন যাপন করে থাকে। কেউ মাছ ধরে, কেউবা আবার খেয়া পারাপার করে থাকে। এখন তাদের বসতবাড়ি হারিয়ে তারা কোথায় যাবে এমন প্রশ্ন সকলের চোখে মুখে।
রবিবার দুপুরে মালিকান্দা মেঘুলা স্কুল এন্ড কলেজের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একটি পরিদর্শন দল দুর্ঘটনা প্রবণ অঞ্চলে পরিদর্শনে যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণে।
এলাকাবাসী ও এলাকার বিশিষ্টজনেরা মনে করেন, সরকারের পক্ষ থেকে এখনই কোন পদক্ষেপ না নিলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিলীন হয়ে যেতে পারে মেঘুলা বাজারসহ আশপাশের এলাকা, ক্ষতিগ্রস্থ হবে এলাকার উন্নয়ন।