গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, ঘন কুয়াশার কারণে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। কনকনে শীতে নাকাল ঢাকার দোহার উপজেলার পদ্মা পাড়ের ১০টি গ্রামের হতদরিদ্র মানুষ। নয়াবাড়ি, নারিশা, মাহমুদপুর এবং বিলাশপুর ইউনিয়নের বেশিরভাগ মানুষ হতদরিদ্র। গরম কাপড় না থাকায় কষ্ট পাচ্ছে তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েক দিনের বৈরী আবহাওয়ায় নাকাল হয়ে পড়েছে ঐ এলাকার সাধারণ মানুষ। ইউসুফ আলী (৭০) নামের এক বৃদ্ধ বাড়ির উঠানে খড়কুটার আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সালেহা বেগম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধা শীতের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে বলেন, বাবা খুব ঠাণ্ডা। ঘরোত জাম্পার, কম্বল কিছু নাই। ঠাণ্ডা বাতাস ঘরোত ঢুকোছে। ঠাণ্ডায় খুব কষ্ট হইছে।
দিনমজুর আবদুল কুদুস বলেন, শীতের কাপড়ের দাম বেশি। কিভাবে ছেলে মেয়েকে শীতের কাপড় কিনে দেব? যে টাহা কামাই তা দিয়া তো আমাগো সংসার-ই চলে না।
দোহার উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলা-উদ্দিন মোল্লা বলেন, সারা দেশেই শীতার্ত মানুষের আহাজারি। দুর্গত মানুষ সাহায্যের জন্য সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে।
দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.নূরুল করিম ভুঁইয়া বলেন, শীতবস্ত্র চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে হতদরিদ্র মানুষকে শীতবস্ত্র দেয়া হবে।