News39.net: দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস প্রতিবেদনে জানানো হয়, জুন মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এশিয়ার দেশগুলোতে আরেক দফা চরম তাপমাত্রা পরিস্থিতি বিরাজ করতে শুরু করেছে। ‘চলতি মাসে দেশে ১ থেকে ২টি বিচ্ছিন্নভাবে মৃদু (৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যেতে পারে এবং দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে।’
এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সারাদেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষাকাল) বিস্তার লাভ করতে পারে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২ টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, এরমধ্যে একটি মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। জুনে দেশে ৪ থেকে ৬ দিন হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় হতে পারে।
এশিয়ার পুরো অঞ্চলে মৌসুমী তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এর ফলে এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের দ্রুত পরিবর্তনশীল জলবায়ুর সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।
সদ্য শেষ হওয়া মে মাসে সারাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪৪ দশমিক ১ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরো জানায়, মে মাসে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম ছিলো। সারাদেশের গড় তাপমাত্রা ০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিলো।
এপ্রিলে বড় অংশে তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল। মে মাসের শেষের দিকে তাপমাত্রা আবার বেড়ে যায়। চীন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং অন্যান্য অঞ্চলে মৌসুমী তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ওই সময় বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, আগামী মাসে আরও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু বিজ্ঞানী সারাহ পারকিন্স-কির্কপ্যাট্রিক বলেন, ‘আমরা বলতে পারি না যে, এগুলো এমন ঘটনা যার সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে এবং পরিস্থিতি প্রশমিত হবে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের অগ্রগতির সাথে সাথে এগুলো আরও খারাপ হতে হচ্ছে।’