বুধবার বিকালে কাদের মোল্লার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্দ্যোগে আয়োজিত সমাবেশ ও আনন্দ মিছিলে রতন স্বাধীনতা ভাস্কর্যে আয়োজিত সমাবেশ গৃহায়ন ও গনপূর্ত প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট আব্দুল মান্নান খান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয় নাই, কাদের মোল্লার রায়ের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের শেষ অধ্যায় শুরু করেছে সরকার। কাদের মোল্লার রায় কাযর্কর করার মাধ্যমে সরকার দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের শেষটা শুরু করবে বলে ঘোষনা দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। এর রায়ের প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠে দেশের বামপন্থী দলগুলো। শাহবাগে ৫ ফেব্রুয়ারী থেকে আন্দোলন গড়ে তোলে বামপন্থী দল গুলো। এর কারনে আইন পরিবতর্ন করে সরকার। এবং উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার উচ্চ আদালত রায় পরিবর্তন করে ফাশিঁর আদেশ দেয় কাদের মোল্লার। এর রায়ের প্রতিবাদে সারাদেশে ৪৮ ঘন্টার হরতাল ডাকে জামায়াত ইসলামী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মান্নান খান বলেন, বতর্মান সরকারের আমলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকর করা হবে। জামায়াত শিবির স্বাধীনতা বিরোধী উল্লেখ করে তিনি বলেন, জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাষ করে না। তারা পাকিস্থান প্রেম এখনও ভুলতে পারে নি। তাই তারা হরতালের মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে একটা অস্থিতীশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। তারা দেশের সম্পদ নষ্ট করছে। মানুষের জীবনমালের ক্ষতি করছে। তিনি সমাজের ভিতর লুকিয়ে থাকা জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। এবং সবাইকে নিয়ে সমাজের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা জামায়াত শিবির নেতাকর্মীদের খুজে বের করার আহ্বান জানান।
আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি সম্পর্কে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আগামী নির্বাচন সম্পন্ন হবে। খালেদা জিয়া ও তার দোসরদের কোন ষড়যন্ত্র নির্বাচনকে রুখতে পারবে না। বাংলার মুসলিম, হিন্দু, বোদ্ধ ও খ্রিস্টান সবাইকে নিয়েই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কেউ এই নির্বাচন রুখতে পারবে না।
কাদের মোল্লার ফাশিঁর আদেশ দেওয়ার উপলক্ষে দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফজলুর রহমান, নারিশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ডাঃ আবুল কালাম, ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সুরুজ আলম সুরুজ, যুবলীগ নেতা আবুল কালাম, ছাত্রলীগ নেতা রাজীব শরিফ, আওলাদ হোসেনসহ স্থানীয় আওয়া্য়ী লীগের নেতাকর্মী বৃন্দ। সমাবেশ শেষে মন্ত্রীর নেতৃত্বে মিছিল জয়পাড়া বাজার প্রদক্ষিন করে।