জীবন না জীবিকা ? পরিস্থিতির বাস্তবতা যদি এই হয় ৬ মাস বা ১ বছর একই ভাবে গেলো তখন করোনাকে সাথে নিয়েই চলতে হবে ! অদ্ভুত কথা না ! ধরুণ করোনার রোগী আমার সামনে তাকে সতর্কতার সাথে দেখলাম, পরামর্শ দিলাম। না হয় ধরুণ, আপনার ফ্যামিলিতে একজন করোনা রোগী আছে, তাকে সতর্কতার সাথে সেবা দিতে হবে যাতে আপনার ফ্যামিলির অন্য কারো না হয় । এভাবে জীবনের প্রতি ক্ষেত্রেই সাবধানে পা ফেলতে হবে । এটাকে মানিয়ে নেওয়া বা অভিযোজিত হওয়া বলা যায় কি ? তাই বলতে হবে । নতুন জীবন চর্চা শুরু করতে হবে । এর মধ্য দিয়ে যদি Herd immunity আমরা অর্জন করে ফেলি মন্দ কি !
দেখুন আজ আবার জার্মান ফুটবল লীগ শুরু হলো ! যদিও দর্শক ছাড়া । তার পর ও শুরু হলো। এর পর ইতালীয় লীগ শুরু হবে । সভ্যতা থেমে থাকবে না । দেশে দেশে লকডাউন শিথিল হচ্ছে , আর কয়েকমাস পর অনেক দেশ ইচ্ছে করলেও লকডাউনে যেতে পারবে না, কারণ অর্থনীতি ।
করোনাকে সাথে নিয়ে চলার আরো একটি বাস্তবতা হলো, এই ৪/৫ মাসে আমরা যারা সচেতন তারা বাকী অসচেতনদের সচেতন করতে পারিনি , এর পর আর পারা যাবেও না । এই অসচেতন জনগোষ্ঠীর সংখ্যাই বেশি । তাহলে কি করবেন এখন ? ৬ মাস গেলে সবার কর্মক্ষেত্রে বাধ্য হয়েই ফিরতে হবে । তখন জীবিকাই হবে বড় শ্লোগান।
আরো আছে । ভ্যাকসিন কবে আসবে তারও ঠিক নেই । এই বছরে হয়তো সম্ভব নয়। ঈদ উদযাপন করুন সামাজিক দূরত্ব মেনে, কোলাকুলি না করে, দূর থেকে সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করে ।
এই লেখাটা যখন লিখছি, সামনে টিভিতে জার্মান লীগের খেলা লাইভ দেখছি। ওদের থেকে সাহস পাচ্ছি।
ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন, সাবধানে থাকুন ।
ডা. বাবুল হোসেন
সহকারি অধ্যাপক
এনাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল, সাভার