চাঁদা না দেয়ায় ঢাকা বান্দুরা সড়কে এন মল্লিক পরিবহন চলাচলে বাধা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১২ জুলাই শুক্রবার দুপুরে রামেরকান্দা বোডিং এর কাছে যাত্রীবাহি গাড়ী আটকে রাখা হয়।
এন মল্লিক পরিবহনের চেয়ারম্যান নার্গিস মল্লিক জানান, রুহিতপুর রামের কান্দা বোডিং এলাকায় শাক্তা ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ সভাপতি মো. জুলহাস উদ্দিন ও রুহিতপুর বাজার এলাকায় রুহিতপুর ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মুন্সি ও তার বাহিনী দীর্ঘদিন যাবত তার পরিবহনের কাছে মাসিক চাঁদা দাবী করে আসছে। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করায় মাঝে মাঝেই তার গাড়ীর শ্রমিকদের মারধর করতো। এ বিষয়ে তিনি কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ওসি মাইনউদ্দিনকে একাধিকবার জানিয়েও প্রতিকার পান নি বলে জানান।
বাস শ্রমিক ও যাত্রী সূত্রে জানা যায়, গত ১২ জুলাই শুক্রবার দুপুর ১২টায় নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা থেকে ছেড়ে আসা এন মল্লিক পরিবহণের দুটি বাস রামেরকান্দা পৌছলে জুলহাসের নেতৃত্বে কিছু লোকজন লাঠিসোঠা নিয়ে আটকে দেয়। এসময় যাত্রীরা অনুরোধ করলে তাদেরকে হুমকি ধামকি দেয় এবং ভাংচুরের চেষ্টা চালায়। ভয়ে যাত্রীরা নেমে গেলে গাড়ী দুটি আটকে রাখে। গাড়ীতে থাকা যাত্রী আবুল কালাম জানান, প্রায় প্রতিদিনই এখানে নামধারী শ্রমিক নেতারা গাড়ী থামিয়ে চাঁদা আদায় করছে। এতে সাধারণ যাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে।
এব্যাপারে শ্রমিকলীগ নেতা জুলহাস জানান, তিনি কোন চাঁদা চান নি। “গত রোববার এন মল্লিক পরিবহনের একটি গাড়ী দূর্টঘনার শিকার হলে লোক মারা যায়। এ ঘটনায় আমার বিশ হাজার টাকা খরচ হয়। তিনি সে টাকা দাবী করেছেন। চাঁদাবাজির অভিযোগটি মিথ্যা।”
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাইনউদ্দিন বলেন, গাড়ীর মালিকের কাছ থেকে ঘটনা শুনেছি। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।