দোহার-নবাবগঞ্জের বাজারে আমে মাছি নেই

253

দোহার-নবাবগঞ্জের আমের বাজার এখন জমজমাট। রসালো ফল হিসেবে আমের বেশ কদর রয়েছে। আমের মৌসুম এলে চারিদিকে এক ধরনের উৎসব শুরু হয়ে যায়। কিন্তু পছন্দের ফলটি যদি প্রাণনাশের কারন হয় তাহলে সে ফল খাওয়া কতটুকু স্বাস্থসম্মত সেটা ভেবে দেখা প্রয়োজন।

ফরমালিন মেশানোর কারণে এসব আমে কোনো মাছি বসে না। “পঁচা ফলে মাছি বসে, ভালো ফলে বসে না” এমন কথার ফুল ঝুরিতে ক্রেতা টানার চেষ্টা করছেন দোহার-নবাবগঞ্জের বিভিন্ন বাজারের আম বিক্রেতারা।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও জাতীয় মান নির্ধারণী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্টান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনসহ (বিএসটিআই) বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান অভিযান চালালেও তাতে কাজ হচ্ছে না। নিয়মিত বিষাক্ত কেমিক্যালযুক্ত আম বিক্রি হচ্ছে দোহার-নবাবগরঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়।

বান্দুরা বাজারের আম দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে কথার ফুলঝুরি বিক্রেতাদের মুখে। এক ব্যক্তি বিক্রেতার কাছে জানতে চাইলেন ফরমালিনমুক্ত আম হলেতো মাছি ওড়ার কথা, কিন্তু আপনার দোকানেতো কোনো মাছি নেই। জবাবে বিক্রেতা বলেন, “পঁচা ফলে মাছি বসে, ভালো ফলে বসে না।” আরেক বিক্রেতা বলেন, “দুনিয়ার সব কচি কলা ফরমালিন দিয়ে বেচা হয়, সেগুলোতো ভালোই চলতাছে। শুধু আম কিনতে আইসা মানুষ ফরমালিন খোঁজে।” অন্য এক ব্যবসায়ী বলেন “আমের ফরমালিন কি আমরা দেই নাকি? আমরা আড়ত থেকে আম কিনে এখানে বিক্রি করি। এতে যদি আড়তদাররা ফরমালিন মিশায় তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের ব্যবসা করা দরকার তাই বিক্রি করি।”

অন্য খবর  শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পুরুষ্কার বিতরণ

শুধু দোহার-নবাবগঞ্জে নয় সারাদেশেই বিভিন্ন ফল-ফসলে বেপরোয়াভাবে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হচ্ছে হরহামেশাই। বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় এগুলো মানুষের শরীরে প্রবেশ করে অনেককে তাৎক্ষণিকভাবে আবার অনেককে নীরবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ফলে মানুষ তার নিজের অজান্তেই এভাবে স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এসব রাসায়নিক মিশ্রিত ভেজাল খাদ্য গ্রহণ করছে। এ ব্যাপারে সচেতন হতে দেরী না করাই ভাল।

আপনার মতামত দিন