ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অনলাইন নিরাপত্তার ব্যাপারে সচেতন করতে তৎপর হয়েছে ওয়েবজায়ান্ট গুগল। এ লক্ষ্যে সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য সম্প্রতি বেশ কিছু টিপস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
গুগলের এই টিপসগুলো অনলাইনে ব্যক্তিগত ও স্পর্শকাতর তথ্যের নিরাপত্তা বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মন্তব্য করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক ব্লগসাইট ম্যাশএবল ডটকম।
সার্চ ইঞ্জিন, ইন্টারনেট ব্রাউজার ও এমনকি মোবাইলের জন্য কিছু উল্লেখযোগ্য টিপস-
১. শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন:
অনলাইনে সুরক্ষার জন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ডের কোনো বিকল্প নেই। অনলাইনে প্রতিটি আলাদা সেবায় একটি পাসওয়ার্ডের পরিবর্তে ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিৎ। এজন্য বিভিন্ন পাসওয়ার্ড ম্যানেজিং সফটওয়্যারের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
২. হ্যাকারদের হাত থেকে অ্যাকাউন্ট ও সেলফি রক্ষা করুন:
‘টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন’ ফিচার ব্যবহারের পরামর্শ দিছে গুগল। এই পদ্ধতিতে সঠিক ব্যবহারকারী সনাক্ত করার জন্য ‘ভেরিফিকেশন কোড’ ব্যবহার করে গুগল। যেকোনো অপরিচিত ডিভাইস থেকে অ্যাকাউন্টে প্রবেশের সময় প্রদত্ত মোবাইল এ ‘ভেরিফিকেশন কোড’ আসে, এবং এই কোড ইনপুটের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি অ্যাকাউন্টের সঠিক মালিকানা যাচাই করে।
৩. ডিভাইসের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবহার করুন:
নিজের মোবাইল ডিভাইসে পিন বা পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে গুগল। অবাঞ্ছিত ব্যক্তিদের হাত থেকে ডিভাইস নিরাপদ রাখতে এই সিকিউরিটি সিস্টেমগুলো বেশ কাজের।
৪. সন্দেহ হলেই ‘রিপোর্ট’ করুন:
কোনো সন্দেহজনক কন্টেন্ট পেলে সঙ্গে সঙ্গেই রিপোর্ট করা উচিত। এ ব্যাপারগুলোর উপর নজরদারির জন্য নিজস্ব কর্মী আছে গুগলের। পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবহারকারীদের জন্যেও ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনতে পারে এই পদক্ষেপ।
৫. ব্রাউজার নিয়মিত আপডেট করুন:
ব্রাউজার আপডেটের নোটিফিকেশন বিরক্তিকর মনে হলেও হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচার জন্য নিয়মিত আপডেট করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। পুরনো ব্রাউজারগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি থাকে বলে হ্যাকারদের পক্ষে তথ্য চুরি করা খুব সহজ যায়। তাই সবসময়ই ব্রাউজারের আপডেটেড সংস্করণটিই ব্যবহার করা উচিত।
ছবি: ম্যাশএবল ডট কম