অনিয়মই নিয়ম নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

477

নিউজ৩৯♦ একের পর এক সংকট ও অনিয়মে দিশেহারা নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালের উপর উপজেলার মানুষ অনেকাংশে নির্ভরশীল হলেও একের পর এক অনিয়ম, সংকটের কারনে বিপাকে পরেছেন এই এলাকার দরিদ্র মানুষ যাদের অসুস্থ হলে একমাত্র আশ্রয়স্থল। এরই মধ্য দীর্ঘদিন ধরে অচল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র এক্স রে মেশিনটি। ফলে স্বল্প মুল্যে এক্স রের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এই উপজেলার হাজারো মানুষ।

নবাবগঞ্জের ১৪ টি ইউনিয়নের জন্য একমাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার মান ও পরিবেশ নিয়ে সাধারন মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। নোংরা পরিবেশে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এমন কি আয়া, ঝাড়ুদার দিয়ে ইনিজেকশন পুশ করার ঘটনা এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘটছে অহোরহো। এমন কি ডাক্তাররের প্রেসক্রাইব করা সরকারি ঔষুধও নেই বলে রোগীদের তাড়িয়ে দেয় ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারীরা। খাবারের মান, রান্নাঘরের পরিবেশ, বাথরুম নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই রোগীদের। নেই অতি প্রয়োজনীয় বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা।

এরই মাঝে উপজেলা ডাক্তারেরা উপজেলার পাশেই বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে রেফারড করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। দরিদ্র রোগীরা হয়ে পরেছে অসহায়। এরই মাঝে উপজেলা নিবাসী মোঃ আলী হাতের টিউমার অপারেশন করার জন্য উপজেলার চিকিৎসকের কাছে গেলেও চিকিৎসক তাকে রেফারড করেন স্থানীয় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে। এতেআমোঃ আলীর প্রায় ৩২ হাজার টাকা খরচ হয়। যেখানে ফ্রিতে স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার কথা উপজেলা চিকিৎসকের সেখানে এই ভাবে দরিদ্র মানুষের আজ সহায় সম্বল বিক্রি করে করতে হয়েছে ছোট একটা অপারেশন। সেই সাথে উপজেলা ডাক্তারদের যোগ সাজসে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানীয় প্রাইভেট ক্লিনিকের দালালদের ভিড় লক্ষ করা যায়। 

অন্য খবর  যুগান্তরের ধারাবাহিক প্রতিবেদনে ইমেজ সংকটে আব্দুল মান্নান খান

উপজেলার ঔষধের স্থানেও প্যারাসিটামল, হিস্টাসিন এন্টিসেড ছাড়া কোন ঔষধই দেয়া হয় না। ফলে বেশি দাম দিয়ে তাদের ঔষধ কিনতে হয় বাইরে থেকে। 

এদিকে এক্স রে মেশিনটি দীর্ঘ দিন ধরে অচল রইলেও এটি ঠিক করার দিকে নেই কারো নজর। উল্টো রোগীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে প্রাইভেট ক্লিনিকে যেয়ে এক্স রে করানোর জন্য। ফলে কারনে অকারনে প্রাইভেট ক্লিনিকে রেফারড করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তাররা হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। স্থানীয় প্রাইভেট ক্লিনিকের সাথে ভালো সম্পর্কের সুযোগে চিকিৎসকরাও চান না বদলী হতে। ফলে তারা থেকে যাচ্ছেন একই কর্মস্থলে। এবং প্রাইভেট ক্লিনিকে সকাল বিকাল দুই বেলা নিয়ম করে দেখে যাচ্ছেন রোগী। 

ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন জাকির হোসেন বলেন এক্স রে মেশিনের জন্য নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তাদের কাছে আবেদন করেছে। তবে অনিয়মের বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলেছেন। visit

আপনার মতামত দিন