ষোলঘরে আরাম পরিবহনের বাস পানির তলায়

231

শুক্রবার দুপুরে দোহারের আরাম পরিবহনের একটি বাস ষোলঘরের দুর্ঘটনায় পড়ে জলাশয়ে ডুবে যায়, প্রাথমিকভাবে তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে বাসটি ঢাকা থেকে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে দোহারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়, বেলা সোয়া ১টার দিকে শ্রীনগরের ষোলঘর বটতলায় এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের জলাশয়ে গিয়ে ১০ফুট গভীর পানিতে তলিয়ে যায়।

দুর্ঘটনার ৩ ঘণ্টা পর বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। বাস থেকে ৩টি লাশ উদ্ধারের খবর দিয়েছে শ্রীনগর থানা পুলিশ। উদ্ধারকৃত ৩টি লাশে মধ্যে দু’জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন শ্রীনগর কোলাপাড়া গ্রামের রমিজ (৬০), শম্ভু বর্মন (৩৩) ও অজ্ঞাত এক বৃদ্ধ মহিলা।

বাস থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ১৭ জনকে। এদের মধ্যে দুইজনকে শ্রীনগরের ষোলঘর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে নিজ গন্তব্যে চলে গেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার পরপরই বাসের ভেতর থেকে ১৫ থেকে ১৭ জন যাত্রী আহত অবস্থায় সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও অপর যাত্রীদের কি অবস্থা তা জানা যায়নি।

হাসাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হাসান নিউজ৩৯.নেট-কে জানান, শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে ঢাকা থেকে দোহারগামী ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের শ্রীনগরের ষোলঘর এলাকায় আরাম পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে ডুবে যায়।এ ঘটনায় আহত ১৯ যাত্রীকে ষোলঘর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে শম্ভু বর্মন (৩৩) ও রমিজ আলী (৬০) নামে দুজন নিহত হন। আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

অন্য খবর  পৌরসভা এলাকায় প্রবেশ করলেই দিতে হবে দশ টাকা

বাসটিকে পানি থেকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি দল।

তবে,বাসের মধ্যে আর কোন লাশ নেই বলে জানান শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান। অর্ধশত যাত্রীর মধ্যে তিনজন নিহত, অন্তত ২০ যাত্রী আহত হয়েছেন, বাকিরা নিখোজ। আহতদের স্থানীয় ষোলঘর হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট মো. হাসান জানান, বেলা সোয়া ১টার দিকে আরাম পরিবহনের বাসটি ঢাকা থেকে দোহার যাচ্ছিল। “পথে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের ষোলঘরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি রাস্তার পাশে পুকুরে পড়ে যায়।”

উদ্ধার তৎপরতা চালাতে ফায়ার সার্ভিসের জেটি ও ক্রেন রাস্তার উপর থাকায় মহাসড়কের দুই পার্শে প্রায় ২০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি উদ্ধারে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে অভিযোগ তুলে এলাকাবাসী বেলা ৩টার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে পরে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিস বাসটিকে পানি থেকে টেনে উপরে উঠাতে সক্ষম হয়। এরপর মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাইফুল হাসান বাদল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ এর নেতৃত্বে উদ্ধার তৎপরতা সমাপ্ত করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।
 
স্থানীয় সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষ, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান বাদল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন উপস্থিত থেকে উদ্ধার কাজ তদারক করেন।

আপনার মতামত দিন