নিউজ৩৯♦ ভাগ্যের চাকা পরিবর্তনের জন্য ১০ বছর ধরে সৌদি আরবে অমানুষিক পরিশ্রমের ওয়েল্ডিং এর কাজ করতেন বটিয়ার শাহিন। কিন্তু দুঃখ জনক ভাবে সহকর্মীর ভুলে প্রান হারান শাহিন। সৌদি আরবের রিয়াদের হারা এলাকায় ওয়েল্ডিং এর কাজ করার সময় গত সোমবার এই ঘটনা ঘটে। কিন্তু শাহিন সরদারের মৃত্যু শুধু শাহিন সরদারের মাঝেই আবদ্ধ নেই, সেটা এখন সারা জীবনের কষ্ট হয়ে দাড়িয়েছে তার অনাগত সন্তানের জন্যও।
তিন বছর আগে ২০১২ সালে মাঝিরচরের মইনুদ্দিন প্রমানিকের মেয়ে সাবিয়া আক্তার সুমির সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় শাহীন সরদারের। গত সোমবারও সব কিছু ঠিক ছিল। মৃত্যুর মাত্র ৩০ মিনিট আগেও অনাগত সন্তান ও স্ত্রীর শরীরিক অবস্থা নিয়ে কথা হয়েছিল শাহিনের। স্ত্রীর কাছে বলেছিল দেশে আসার সময় সন্তানের জন্য লাল গাড়ি নিয়ে আসার কথা। যাতে একটু বড় হলেই চালাতে পারে। কিন্তু মৃত্যুর ধূসর চাদরে তার আগেই ঢাকা পরলো শাহিন।
ছেলের মৃত্যুতে মা জাহানারা বেগম পাগল প্রায়। কোন কিছুই মেনে নিতে পারছেন না এই নারী।
শাহীন শেষ বাড়ের মতো বাড়ি এসেছিলেন ১০ মাস আগে। সাত মাসের ছুটি শেষ করে সৌদি আরবের দিকে রওনা দিয়েছিলেন গত এপ্রিল মাসে। কিন্তু ৩ মাস যেতে না যেতেই চির অচেনার দেশে হারিয়ে গেল শাহিন।
শাহিনের পারিবারিক সুত্র জানিয়েছে সরকার ও শাহিনের মালিক কর্তৃপক্ষ লাশ দেশে ফেরত পাঠাবার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।