নিউজ৩৯♦ ঢাকার দোহার উপজেলার নারিশা থেকে নায়াবাড়ী পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকার পদ্মা পারের হাজার পরিবার পদ্মা নদীর ভয়াবহ ভাঙন-আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছে। এলাকাবাসী জানিয়েছে, পদ্মা নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙতে শুরু করেছে দোহারের নয়াবাড়ীর ধোয়াইর বাজার, বাহ্রাঘাট, নারিশাসহ বিভিন্ন স্থানে। এরই মধ্যে ধোয়াইর বাজারের একটি, বাহ্রাঘাটের দুটি দোকান নদীতে চলে গেছে। ভাঙন-ঝুঁকিতে রয়েছে কয়েকটি বাজারের শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদ, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। যে কোনো সময় পদ্মায় বিলীন হয়ে যেতে পারে এসব প্রতিষ্ঠান। হুমকিতে রয়েছে দোহার-নবাবগঞ্জ-মানিকগঞ্জ রক্ষা বেড়িবাঁধ।
স্থানীয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, ভাঙন প্রতিরোধে নয়াবাড়ীর ধোয়াইর বাজার, বাহ্রাঘাট ও কুসুমহাটির দেওভোগ এলাকায় বাঁশের বাঁধ ও জিও ব্যাগে বালু ভর্তি করে ফেলা হচ্ছে। তবে এই ভাঙনের খবর নেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে। বর্ষার শুরুতেই ভাঙনের ফলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আতঙ্কের মধ্যে কাটছে উপজেলার হাজার পরিবারের দিন-রাত।
ভাঙনকবলিতদের দাবি, দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণসহ গত কয়েক বছরে পদ্মায় ভাঙনকবলিত পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নূরুল করিম ভূঁইয়া জানান, আমরা উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করছি।