যে প্রাসাদে বাস করি
যে প্রাসাদে বাস করি, শুনি এর ভিত নাকি ভাঙা
কার্পেট উঠিয়ে দেখি
বুকভাঙা মানুষের খুন দিয়ে রাঙা।
দেয়ালের প্রতি ইটে অহরহ শুনি কার ক্রন্দন
কত যে চোখের জলে
ধুয়ে দেয় নিতি রঙিন আস্তরণ।
বহুদিন হতে এ প্রাসাদে আমি নিঃসঙ্গ কাল যাপি
নীরব নিভৃতে তবু শুনিতেছি বাতাসের দাপাদাপি
গভীর নিশীথ জেগে প্রতিদিন কার পদশব্দ শুনি,
মনে হয় কারা যেন খুঁজিতেছে- খুঁজিতেছে কার খুনি।
নিমীলিত আঁখি স্বপ্ন-জড়ানো কত যে তিমির রাত
নিঃশব্দে ক্ষয়ে গেছে সয়ে সয়ে বাতাসের পদাঘাত।
তীব্র ভ্রুকুটি হেনে প্রতিদিন প্রাণের উচ্ছ্বাস-
মহাক্রোধে ছুঁড়ে দেয়
দেয়ালে দেয়ালে বিষাক্ত নিশ্বাস।
আমি যে অনাথ-
নিয়েছি আশ্রয়, কেন এ ভ্রুকুটি হানো?
আমি তো জানি না এ রহস্য কিছু,
ইতিহাস তুমি জানো।
কান্ত দেখে হাসি
আমার কান্ত দেখে হেসে মরি
বুকের ভিতরে টক টক টক দু হাত দোলন যেন
বেজে চলে সময়ের ঘড়ি।
খাবার বাসন নেই- সিগ্রেটের বাক্সটা পকেটের পুঁজি
মনের দর্পণে ঘুরে ফিরে আপন সত্তাকে আমি খুঁজি।
চোখের কোটরে আঁটা একজোড়া চোখ যেন সুপারির মতো
নিঃশেষে আমাকেই গ্রাস করে যাবে এমন উদ্ধত।
অন্তহীন পথে হেঁটে চলি মাইল ক্রোশ পাঁচ দশ বিশ
আমার গতিকে রুখতে পারে না সিগন্যাল ট্রাফিক পুলিশ।
সারাদিন গাড়ি চলে, ধোঁয়া ছুঁড়ে গাড়ি চলে ট্রাক বাস রেল
আমি চলি দ্রুতগামী- কারা যেন ডেকে বলে- ফেল ফেল ফেল।