নবাবগঞ্জে জনতা মাল্টি পারপাস কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে

270

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শিকারীপাড়ায় জনতা ফিন্যান্স লিমিটেড নামে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গ্রাহকদের ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে শিকারীপাড়া শাখার গ্রাহকরা টাকা ফেরতের দাবিতে ব্যাংকের সামনে ভিড় জমায়।

গ্রাহকদের জমা রাখা পুরো টাকা দাবি করলে ব্যাংকের ম্যানেজার আবদুল গফুর বলেন, সব টাকা প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সকালে ব্যাংকে এসে গ্রাহকরা দেখতে পায় ব্যাংকের প্রধান ফটকে তালা। এতে শত শত গ্রাহক হতাশ হয়ে পড়ে। গ্রাহকরা খবর পায় ম্যানেজার শিকারীপাড়া বাজারে আছেন। তারা দ্রুত সেখানে গিয়ে ম্যানেজারকে আটক করে। পরে খবর পেয়ে শিকারীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলিমোর রহমান খান পিয়ারা উপস্থিত গ্রাহকদের নিয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেন। পরে পুলিশকে সংবাদ দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ম্যানেজার আবদুল গফুর ও অফিস সহকারী জুবায়েরকে আটক করে। 

ম্যানেজার জানান, গ্রাহকদের কাছে আমি ৪০ লাখ টাকা লোন পাই। সেখান থেকে গ্রাহকদের টাকা দিয়ে দেব। তবে ম্যানেজারের কাছে ঢাকার প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা জানতে চাইলে তিনি বলতে অপারগতা জানান। ম্যানেজারের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়।

অন্য খবর  স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে দ্রুত ভ্যাকসিন নিতে হবে: সালমান এফ রহমান

এই প্রতিষ্ঠানটির দোহারের বাংলাবাজার ও নবাবগঞ্জের গোবিন্দপুর এবং গালিমপুরে আরও তিনটি শাখা রয়েছে। সেসব জায়গায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় সবাই পলাতক। গ্রাহকদের অভিযোগ এসব শাখা থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। 

জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের গ্রাহক খোকন জানান, আমি এই ব্যাংকে ১৮ লাখ টাকা রেখেছি কিন্তু এখন ফেরত পাচ্ছি না। মনিকান্দা গ্রামের সালমা বেগম জানান, আমার নগদ টাকাসহ ৫ ভরি স্বর্ণালংকার রেখেছি।

এ সময় শত শত মানুষ ব্যাংকের সামনে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। নিজেদের সহায়-সম্বলটুকু হারিয়ে যাবে কিনা এ নিয়ে অনেকেই হতাশায় দিশেহারা হয়ে পড়ে। 

শিকারীপাড়া শাখার ম্যানেজার আবদুল গফুর জানান, আমার কাছে নগদ ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা আছে। বাকি টাকা আমি প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। 

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী গ্রাহকদের কাছ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মতামত দিন