দোহারে পদ্মার ভাঙনে বাড়ছে ভূমিহীন পরিবারের সংখ্যা

388

“কেউ কোন দিন ঘর বাইন্ধনা পদ্মা নদীর তীরে, আমির কে সে এক পলকে পথের ফকির করে।” এই কথার সত্যতা মিলেছে দোহার উপজেলার নয়াবাড়ী ইউনিয়নের নয়াডাঙ্গী গ্রামের হাজেরা বেগম (৫৫) নামে এক বৃদ্ধার জীবনে।

সকালে যিনি বাড়ি ও অনেক জমির মালিক বিকেলে সে সর্বহারা, কপালের লিখন না যায় খণ্ডন। “আমাগো কপালের এই লিখন আছিলো বাবা আক্ষেপ কইরে‌ কি হইবো। গরীব মানুষ্যের কষ্ট কারো যায় আসে না একদিন আগে তার বসত বাড়ি নদীতে ভেঙে নিয়ে গেছে”, ভাঙ্গনের শিকার বসত বাড়ীর অবশিষ্ট অংশে রান্না করছিলেন রহিমা বেগম। আর চোখের জল আঁচলে মুছতে মুছতে এভাবেই তার মনের কথা ব্যক্ত করছিলেন।

বর্ষা মৌসুম শুরু হতেই দোহারের নয়াবাড়ী ইউনিয়নে পদ্মা ভাঙ্গনে দিশেহারা হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ। গত কয়েক দিনে প্রায় ২৫/৩০ টি পরিবার সর্বস্ব হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বাহ্রা গ্রামের বাসিন্দা আলম ব্যাপারী বলেন,বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে দোহারে তার নিবার্চনী সভায় দোহার-নবাবগঞ্জবাসীকে পদ্মার ভাঙ্গনরোধে বেড়ীবাঁধ নির্মাণের অঙ্গীকার করলেও ৬ বছরে ও প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হয় নি। আমরা এখনো আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রত আমাদেরকে দেয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করবেন ।

অন্য খবর  আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপ-কমিটির সদস্য হলেন সুরুজ আলম

সরকার ও জনপ্রতিনিধির পরিবর্তন হলেও দোহারের পদ্মা পাড়ের মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হচ্ছে না এমন দাবী তাদের। চলতি বর্ষা মৌসুমে কয়েকদিনের টানা বর্ষণের ফলে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে বেড়েছে স্রোতের তীব্রতা। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভাঙ্গন। এতে এলাকাবাসী রাতদিন আতংকে সময় কাটাচ্ছেন।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক দিনে নয়াবাড়ী ইউনিয়নের দেওয়ান বাড়ী মোড় ও নয়াডাঙ্গী গ্রামের প্রায় ১০০ টি পরিবার ভাঙ্গনের কবলে পড়ে সহায় সম্বল হারিয়েছে। এ স্থানে প্রায় ৪শ মিটার জায়গায় ব্যপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুল করিম ভূইয়া বলেন, ভাঙ্গন কবলিতদের খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। কিছু পরিবারকে ২০ কেজি করে চালও দেয়া হয়েছে। বিষয় উপরের মহলে জানানো হয়েছে ।

আপনার মতামত দিন