ঢাকা–নবাবগঞ্জ-দোহার সড়কের তিন সেতুতে বাতি জ্বলে না

354

নিউজ৩৯.নেট ♦ ঢাকা-নবাবগঞ্জ-দোহার সড়কের মরিচা এলাকায় ইছামতী নদীতে, তুলসীখালী এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে এবং দোহারের জয়পাড়ার লটাখোলা এলাকায় নির্মিত সেতুর ল্যাম্পপোস্টের বাতি এখন আর জ্বলছে না।

ঢাকার দক্ষিণ অংশের বহুল ব্যবহৃত এসব সেতু উদ্বোধনের এক বছর পার না হতেই ল্যাম্পপোস্টের বাতিগুলো অকেজো হয়ে গেছে। এর পর থেকে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ এ বিষয়ে আর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ককে ইতিমধ্যে পদ্মা সেতুর বাইপাস সড়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লোকজন সড়কপথে যাতায়াতের জন্য এই সেতুগুলো ব্যবহার করে থাকে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নবাবগঞ্জের মরিচা ও তুলসীখালী এবং দোহারের জয়পাড়া লটাখোলা সেতুর সংযোগ (অ্যাপ্রোচ) সড়কের অনেক স্থানের মাটি সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ল্যাম্পপোস্টের খুঁটির গোড়ায় মাটি না থাকায় খুঁটি হেলে পড়ছে। এতে ল্যাম্পপোস্টের বাতিগুলো ঝুলে আছে বা ভেঙে পড়ে গেছে। কোনো কোনো বাতির অস্তিত্বই নেই।

স্থানীয় ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, সেতু উদ্বোধনের কিছুদিন পরই অধিকাংশ বাতি নষ্ট হয়ে যায়। সন্ধ্যা নামলে সেতু এলাকায় ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সেতু এলাকা ফাঁকা থাকায় এবং সড়কের বাতি না জ্বলায় সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলকারীরা প্রায়ই ছিনতাইয়ের শিকার হয়। এ ছাড়া, সেতুতে বাতি না থাকায় মাঝেমধ্যে যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

অন্য খবর  নির্বাচন করতে পারবেন না নাজমুল হুদা

মরিচা এলাকার বাসিন্দা ও ঢাকা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা কমরেড সাইদুর রহমান বলেন, সড়ক বিভাগের লোকজন ইচ্ছা করলেই এ কাজগুলো করতে পারেন। সেতুর এপারে বেনুখালী চক এলাকায় প্রায়ই সড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটে থাকে। সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কের কাছে মাঝেমধ্যে পুলিশ তল্লাশিচৌকি বসালেও ওই এলাকায় কোনো বাতির ব্যবস্থা নেই। এতে অন্ধকারের সুযোগে প্রায়ই যাত্রীরা ডাকাতদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারায়।

সড়ক ও জনপথ মুন্সিগঞ্জ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী খায়রুল ইসলাম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আপনার মতামত দিন