ইসলামে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার গুরুত্ব

25
ইসলামে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার গুরুত্ব

ইসলাম সব সময় শান্তি, সম্প্রতি আর শৃঙ্খলার কথা বলে। সমাজে কাউকে অন্যায় করতে দেখলে বা কাউকে জুলুমের শিকার হতে দেখলে জুলুমের প্রতিবাদ করা ইমানি দায়িত্ব। এটিই একজন মুসলমানের প্রধান বৈশিষ্ট্য। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি; মানুষের কল্যাণেই তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে।

তোমরা সৎ কাজের আদেশ দেবে এবং অন্যায় কাজে বাধা প্রদান করবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১১০) হাদিসে এসেছে, আবু সায়িদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে কেউ কোনো অন্যায় হতে দেখে, সে যেন হাত দিয়ে তা প্রতিহত করে। যদি তা না পারে, তবে কথা দিয়ে; তাও না পারলে অন্তর দিয়ে (ঘৃণা করবে)। এটি ইমানের দুর্বলতম স্তর।’ (মুসলিম: ৭৪)

জুলুমের প্রতিবাদ করা বড় সওয়াবের কাজ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা নিজেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন; নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের কী হলো, তোমরা কেন আল্লাহর পথে লড়াই করো না? অথচ দুর্বল পুরুষ, অসহায় নারী ও নিরাশ্রয় শিশুরা আল্লাহর কাছে আর্তনাদ করছে—হে আমাদের রব, আমাদের এই জালিমের জনপদ থেকে মুক্তি দিন এবং আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাঠান।’ (সুরা নিসা: ৭৫) অন্যায় দেখে কোনোভাবেই প্রতিবাদ না করা ইসলামের শিক্ষার বিপরীত। কমপক্ষে অন্তরে ঘৃণা হলেও পোষণ করতে হবে। হুজাইফা ইবনুল ইয়ামান (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যার হাতে আমার জীবন তাঁর শপথ করে বলছি—তোমরা অবশ্যই ভালো কাজে মানুষকে আদেশ দেবে এবং অবশ্যই অন্যায় থেকে নিষেধ করবে। যদি তা না করো, তাহলে আল্লাহ তোমাদের শাস্তি দেবেন। এরপর তোমরা তাঁর কাছে প্রার্থনা করলেও তিনি কবুল করবেন না।’ (তিরমিজি: ৪০৬)

অন্য খবর  মৌড়া এমদাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হলেন মসফেকুর রহমান লিমন

আব্দুল্লাহ আল গালিব, ইসলামবিষয়ক গবেষক

 

 

 

 

 

আপনার মতামত দিন