কিছু ব্যবসায়ী হুন্ডিতে চীনে অর্থ পাঠাচ্ছেন : সালমান এফ রহমান

52
কিছু ব্যবসায়ী হুন্ডিতে চীনে অর্থ পাঠাচ্ছেন : সালমান এফ রহমান

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, ‘ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার জন্য আন্ডার ইনভয়েসিং (পণ্যের দাম বেশি দেখানো) হচ্ছে, এবং সেই অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে চীনে পাঠানো হচ্ছে, যা ভয়ংকর। এটা আমাদের বন্ধ করতে হবে।’

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সম্মেলনকক্ষে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪০ জন প্রতিনিধি।

তাঁরা বাংলাদেশে স্বাস্থ্য, জ্বালানি, তথ্য-প্রযুক্তি ও এয়ারস্পেস খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বৈঠক শেষে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘এত বড় ডেলিগেশন টিম এর আগে বাংলাদেশে কখনো আসেনি। যাঁরা এসেছেন তাঁরা ব্ল্যাক স্টোন। তাঁরা দেখতে চান বাংলাদেশের কোথায় কোথায় বিনিয়োগ করতে পারেন।

আমাদের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে বলেছেন, ‘তোমাদের অনেক রোগীরা চিকিৎসা নিতে বিদেশে যায়। বিলিয়ন ডলার তোমরা বিদেশে ব্যয় করছ। তোমরা বিদেশে যে চিকিৎসা পাচ্ছ সেটা আমরা তোমাদের দেশে তৈরি করে দিতে পারি। এটা একটা বড় বাজার।

’ তাঁরা বললেন স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের বড় সম্ভাবনা আছে। ভিসা, মাস্টার কার্ড, মেটা, গুগল, মাইক্রোসফটের মতো যে কম্পানি আছে তারাও খুব আগ্রহী। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে তারা অবদান রাখতে চায়। জ্বালানি খাতে এলএনজি নিয়ে কথা হচ্ছে। সেভরন আছে।

অন্য খবর  হিরো আলমের ওপর হামলা, জাতিসংঘের উদ্বেগ

বিভিন্ন এরিয়া থেকে কম্পানি এসেছে। তারা খুবই আগ্রহী। তারা মনে করে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা খুবই ভালো।

আমদানি-রপ্তানিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যে তথ্য দেওয়া হচ্ছে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যের সঙ্গে মিল নেই। অনেক পার্থক্য হচ্ছে। যেমন, চীন বলছে তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ ২৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। আর বাংলাদেশ সরকার বলছে ১৯ বিলিয়ন ডলারের। চীনে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ডলার বেশি যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে কম দেখানো হচ্ছে। মানে রপ্তানি যা আমরা করছি তার চেয়ে কম ডলার আসছে, আবার আমদানি যা করছি তার চেয়ে বেশি ডলার চলে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তাঁর মতামত জানতে চাইলে জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘চীন যদি এটা বলে থাকে তাহলে তো এটা ভয়ংকর বিষয়। তার মানে আমরা ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার জন্য আন্ডার ইন ভয়েসিং করছি, আমদানির বেলায়। তাহলে আমাদের কিছু কিছু ব্যবসায়ী এই কাজটি করছেন। এটা খুবই ভুল কাজ। চীন বলছে ২৬ বিলিয়ন আর আমরা বলছি ১৯ বিলিয়ন। তার মানে বাকি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে বা আন্ডার ইন ভয়েসিংয়ের মাধ্যমে করা হয়েছে। এই তথ্য যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে খুবই ভয়ংকর। এ কথাটাই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সাহেব বলেছেন যে, ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার জন্য যে আন্ডার ইন ভয়েসিং হচ্ছে তা আমাদের বন্ধ করতে হবে।’

অন্য খবর  শতাধিক গ্রাহকের টাকা নিয়ে লাপাত্তা এনজিও

আমেরিকা-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট অতুল ক্যাশপ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘গত কয়েক দশক ধরেই আমেরিকান কম্পানি এই দেশে কাজ করছে। যার মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও জিডিপির উন্নয়নে সহায়তা করছে। আমেরিকার বিভিন্ন কম্পানি, অনেক খাতেই বিনিয়োগে আগ্রহী। এরোস্পেস, ডিজিটাল ইকোনমি, জ্বালানি, লাইফ সায়েন্স ইত্যাদি। এখানে বিনোয়োগের অনেক খাত আছে। আমরা মনে করি এখানে বিনিয়োগের বড় সুযোগ রয়েছে।’

আপনার মতামত দিন