প্রতিবেশী দেশগুলো সামরিক হস্তক্ষেপ করতে পারে এমন শঙ্কায় নাইজারের আকাশসীমায় সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ করেছে দেশটির সামরিক সরকার।
রোববার (৬ আগস্ট) ছিল নাইজার সামরিক সরকারের প্রতি পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোটের দেয়া সময়সীমার শেষ দিন। তাদের দাবি ছিল, নাইজারে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া এবং দেশটির গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে পুনর্বহাল করা। গুরুত্বপূর্ণ এ সময়সীমা শেষ হওয়ার সাথে সাথে সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকির কারণে দেশটির আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় নাইজারের সামরিক সরকার।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটে দেখা যায়, এরইমধ্যে বিমানশুন্য হয়ে পড়েছে নাইজারের আকাশসীমা। পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট দ্রুত নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে পুনর্বহালের দাবি জানায়। এর ব্যতিক্রম হলে দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি দেয়া হয়। তারই প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ দেশটির। কোনো ধরনের আগ্রাসন চালানো হলে পাল্টা দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারী দেন নাইজারের নতুন প্রেসিডেন্ট তাচিয়ানি।
সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আমাদু আব্দরামানে বলেন, নাইজারের সশস্ত্র বাহিনী দেশকে রক্ষা করতে প্রস্তুত। যে কোনো সময় নাইজারে আক্রমণ হতে পারে। তাই আমরা সতর্ক আছি। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এখন আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুলাই মোহাম্মদ বাজুমকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। প্রেসিডেন্ট গার্ডের কমান্ডার জেনারেল আবদুর রাহমানে তাচিয়ানি নিজেকে নাইজারের নতুন নেতা হিসেবে ঘোষণা করেন।